সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নয়া পাড়া গ্রামে সোমবার রাতে মামলার পর তাদের
গ্রেপ্তার করা হয় বলে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান।
মামলার নথি অনুযায়ী, ১৮ বছরের এই তরুণী গাজীপুর থেকে তার বড় বোনের বাড়িতে
বেড়াতে যান দুই দিন আগে। সোমবার বিকেলে বোনের সঙ্গে লছমনপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে
চর্ম রোগের চিকিৎসার জন্য রওনা হন। গ্রামের লেবুবাগান দিয়ে যাওয়ার পথে দুই ব্যক্তি
বড় বোনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে তরুণীকে তুলে নেয়। তারা তাকে পাশের লেবুবাগানের নিয়ে
ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
বড় বোন আশপাশের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই লেবুবাগান থেকে বোনকে উদ্ধার করেন।
ঘটনার পর লছমনপুর গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে মাছ বিক্রেতা হাফিজুর রহমান
মন্টু ও হাতিআগলা গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে আলম মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন তরুণীর বড়
বোন।
পুলিশ কর্মকর্তা হান্নান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে
ধর্ষণের আলামত উদ্ধারসহ মন্টুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আলমকে গ্রেপ্তার
করতে অভিযান চলছে।
আর তরুণীকে পরীক্ষার জন্য
শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান
তিনি।