মঙ্গলবার দলের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মেনন বলেন, “পুঁজিবাদ ইতিহাসের শেষ কথা নয়, সমাজতন্ত্রই মানুষের মুক্তির পথ। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি ঘটেছে, সমাজতন্ত্রের বিপর্যয় ঘটেছে ঠিকই; তবে পৃথিবী আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সমাজতন্ত্রেরই পথে। বরং পুঁজিবাদেরই মৃত্যুযন্ত্রণা দেখছে বিশ্ববাসী প্রতি মুহূর্তে।”
দেশে দেশে যুদ্ধ বাধিয়ে অস্ত্র বিক্রি করা ছাড়া পুঁজিবাদীদের উদ্ধারের কোনো পথ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এর ফলাফল হিসাবে ইতোমধ্যেই সারা বিশ্বজুড়ে জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য, মুদ্রার মান কমে যাওয়া, বর্ণবাদ, জাত্যাভিমান, কর্তৃত্ববাদের প্রসার ঘটছে। বাংলাদেশও পুঁজিবাদী এই সংকট থেকে বাইরে নয়।
“অতি ধনী ও আমলাগোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত সম্পদ বিরাট বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। বিশাল ঋণের ফাঁদ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারই স্বীকার করছে জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এসবই নয়া উদারবাদী অর্থনৈতিক নীতির ফলাফল।”
তোপখানা রোডে দলীয় কার্যালয়ে ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, “গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্টে ধর্ম ব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে যাওয়ায় তারা আবার ফণা তুলেছে। এবার তাদের ফণা ভেঙে দিতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা ও বৈষম্যের বিস্তৃতি সরকারের সকল উন্নয়নকেই খেয়ে ফেলবে।”
গণসাংস্কৃতিক মৈত্রী, গণ শিল্পী সংস্থা, ভাবুক ও পার্টির অন্য শিল্পীরা সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।