চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের রান প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ৩১৮। স্কোরকার্ডের এমন হৃষ্টপুষ্ট অবস্থায় দু-একজনের ব্যর্থতা চোখে পড়ার কথা নয়। তবে শান্ত আর মুমিনুল বলেই তাদের ব্যর্থতা চোখে পড়ছে আলাদা করে। দুজন যে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়ে চলেছেন!
তিনে নেমে এই টেস্টে শান্ত আউট হয়েছেন ১ রানে, অধিনায়ক মুমিনুল ২ রানে। অথচ উইকেটে যাওয়া দলের বাকি সবাই করেছেন অন্তত ফিফটি।
দুজনেরই এখন সবশেষ ১৩ ইনিংসে ফিফটি স্রেফ ১টি করে। শান্ত এর মধ্যে ৬টি ইনিংসে শুরুটা ভালো করে থিতু হয়েও পরে আউট হয়ে গেছেন পঞ্চাশের আগে। তুলনায় মুমিনুলের অবস্থা ভীষণ বাজে। এই ১৩ ইনিংসের ১০টিতে তিনি ১০ রানও ছুঁতে পারেননি! গত ৫ ইনিংসে পারেননি ৬ রানের বেশি করতে।
মুমিনুলকে নিয়ে বড় আশঙ্কা, তার প্রিয় মাঠ, যেখানে একসময় ব্যাট হাতে নামলেই সেঞ্চুরি করতেন, সেখানে তার সবশেষ তিন ইনিংসে রান ৬, ০ ও ২!
এই টেস্টের উইকেটকে ব্যাটিং স্বর্গ বলা যায়। দল কোনো চাপে ছিল না। শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ে নেই তেমন ধার। তারপরও তারা পারেননি ছন্দে ফিরতে।
তবে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সিডন্স দুজনকে নিয়েই শোনালেন আশার গল্প।
“আমার মনে হয়, ওদের সমস্যা হবে না। ব্যাটিং তো আর দু-একজনের ওপর নির্ভর করে না। দল যদি ভালো ব্যাটিং করতে থাকে, তাহলে তারা কয়েক ইনিংস খারাপ খেলা ক্রিকেটারদের বয়ে নিতে পারে। আমার দুর্ভাবনা নেই।”
“ওরা বল বেশ ভালো হিট করছে। ওদের টেকনিক ভালো। শান্ত খুবই প্রতিভাবান ক্রিকেটার। আমি জানি, গত কয়েক বছরে ওকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। সে ‘সুপার ট্যালেন্টেড’, আমি নিশ্চিত, একটা পর্যায়ে সে ভালো করবেই। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে এখনও পর্যন্ত আমরা এই ম্যাচে কাজ ঠিকঠাক করেছি। আশা করি, ওরা দ্বিতীয় ইনিংসে ও দ্বিতীয় টেস্টে আবার সুযোগ পাবে নিজেদের মেলে ধরার।”
মুমিনুল মঙ্গলবার আউট হয়েছেন কাসুন রাজিথার বলে ব্যাট-বলের ফাঁক গলে। সাম্প্রতিক সময়ে এই আউট আরও বেশ কবার হতে দেখা গেছে তাকে। অফ স্টাম্পের বাইরে তাকে মনে হচ্ছে বেশ নড়বড়ে, সামনে পা বাড়ালে যে সংশয়ে থাকেন নিজেই। আত্মবিশ্বাস তো তলানিতে আছেই।
সিডন্সও মেনে নিলেন মুমিনুলের এই ঘাটতির জায়গা। ব্যাটিং কোচ জানালেন, উন্নতির চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
“বার দুয়েক দেখলাম ওকে এভাবে আউট হতে। সে এটা নিয়ে কাজ করছে। বলটা খুব ভালো ছিল। তবে যেভাবে খেলা উচিত ছিল, সেভাবে খেলতে পারেনি সে। কিছু কাজ তার বাকি আছে এখনও। সে ঘুরে দাঁড়াবে, ভালো ব্যাটসম্যান সে।”