দেলোয়ার হোসেন। ফাইল ছবি
তাকে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার
সভাপতি করা হয়েছে।
এক দশক আগে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে
শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার।
মামলার বিষয় জেনেই তাকে ওই পদ দেওয়া
হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আজগর নস্কর।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ঢাকার সাভারের
আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তুবা গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে
অন্তত ১১১ জনের মৃত্যু হয়।
শ্রমিকদের বের হতে না দিয়ে মৃত্যুর
মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগে দেলোয়ার ও তার স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে
মামলা হয়।
ওই মামলায় সিআইডির দেওয়া অভিযোগপত্রে
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৩০৪ (ক) ধারা অনুযায়ী ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ ও ‘অবহেলার কারণে মৃত্যুর’ অভিযোগ আনা হয়।
তাজরীন মালিকসহ ১৩ আসামির বিচার শুরু
তাজরীন মালিকসহ ১৩ আসামির বিচার শুরু
দেলোয়ার হোসেনের বিচার দাবিতে নানা কর্মসূচি এখনও পালন করে শ্রমিক সংগঠনগুলো। ফাইল ছবি
ঘটনার পর গ্রেপ্তার হলেও কয়েক বছর
পর জামিনে মুক্তি পান দেলোরার। বিচার চলার মধ্যেই তিনি ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের
কমিটিতে পদ পেলেন।
গত ১১ মে ঢাকা মহানগর উত্তর মৎস্যজীবী
লীগের সম্মেলনে দেলোয়ার সভাপতি এবং আবদুল জলিল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন
হিসেবে অনুমোদন পাওয়া মৎস্যজীবী লীগে দেলোয়ারের আগে থেকে সম্পৃক্ততার কোনো তথ্য পাওয়া
যায়নি।
মৎস্যজীবী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ
না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খুনের
মামলার বিচার শেষ হয়নি। দলীয় রাজনীতিতেও দেলোয়ারের তেমন কোনো অংশগ্রহণ নেই। হঠাৎ করেই
তিনি মৎস্যজীবী লীগ শুরু করেন। এরপর মহানগর উত্তরের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেই সভাপতি হয়েছেন।”
এ বিষয়ে প্রশ্নে মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ
সম্পাদক আজগর নস্কর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেলোয়ার তো কোনো চাঁদাবাজ না, কোনো দুর্নীতি করে নাই। তাহলে নেতা বানাতে
কী সমস্যা?”
তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডের মামলার বিষয়টি
জানালে তিনি বলেন, “সে ত খুন করেনি, ওটা গার্মেন্টের মামলা।”
মামলার বিষয় জেনেই নেতা বানিয়েছেন-
প্রশ্ন করা হলে আজগর বলেন, “এই মামলাতে তো কোনো সমস্যা নেই।”
এ বিষয়ে দেলোয়ারের কোনো বক্তব্য বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।