গত এপ্রিলে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়ে ইউরোপের ১২টি ক্লাব সুপার লিগ আয়োজনের ঘোষণা দেয়। পরে প্রবল চাপের মুখে তিন দিনের মধ্যে সরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের ছয়টি ক্লাবসহ ৯ ক্লাব। শুরুতেই ভেস্তে যেতে বসা ‘বিদ্রোহী’ প্রতিযোগিতাটি আঁকড়ে আছে কেবল তিন ক্লাব- রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ও ইউভেন্তুস। আপাতত ব্যাপারটি ঝুলে আছে আদালতে।
সুপার লিগের প্রথম চেয়ারম্যান ও রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেস শুরু থেকে এই প্রকল্পে যুক্ত। সব সময়ই তিনি প্রস্তাবিত এই টুর্নামেন্টের পক্ষে বলে এসেছেন এবং এতে বাধা দেওয়ায় উয়েফার সমালোচনা করেছেন।
রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে উয়েফার তাই সম্পর্ক শীতল হয়ে যাওয়া অস্বাভিক নয়। তবে ২৮ মে লিভারপুল ও রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালকে সামনে রেখে মঙ্গলবার টোয়েন্টিফোরইউয়ার ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় উয়েফা প্রধান চেফেরিন এই প্রসঙ্গ নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন।
“নিশ্চিতভাবেই রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। এই মুহূর্তে ক্লাবের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের উপস্থিতিই বলে দেয় যে, উয়েফার প্রতিযোগিতাগুলো কতটা পরিষ্কার।”
“রিয়াল মাদ্রিদের ছেলেদের এবং বার্সেলোনার মেয়েদের দল ফাইনালে (উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) আছে। এতে কেউ হস্তক্ষেপ করেনি।”
রিয়াল, বার্সেলোনা ও ইউভেন্তুসের বিপক্ষে উয়েফা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবে কি-না, এই প্রশ্নের জবাবে চেফেরিন বলেন, আদালতেই এর মীমাংসা হবে।
“সময় আসবে যখন এই ব্যাপারগুলো পরিষ্কার করা হবে, তবে অবশ্যই সেটা মাঠে হবে না।”
মূলত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বিদ্রোহী টুর্নামেন্ট হিসেবে প্রস্তাবিত এই সুপার লিগের মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা করে ক্লাবগুলো। বার্সেলোনা, রিয়াল ও ইউভেন্তুস এখনও সেই পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে।