এক
অটোচালক ও যাত্রীর তর্ক-বিতর্কের জেরে গত ১৫ মে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার
গাবতলী এলাকায় ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সিআইডির
এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিহত
সোহান মিয়া (৩০) দেওয়ানগঞ্জ থানার গাবতলী
এলাকায় মো. ছামিউল ইসলামের ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের
উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে মেকানিকের কাজ করতেন। বৌদ্ধপূর্ণিমার ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে
তিনি খুন হন।
ওই
ঘটনায় মামলা হওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী এলাকা থেকে ইল্লাল
সরদার নামে ৩৫ বছর বয়সী একজনকে
গ্রেপ্তার করে সিআইডির এলআইসি শাখার একটি দল। ইল্লালের বাড়িও জামালপুরে
দেওয়ানগঞ্জে।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ
মহব্বত কবীর সে সময় জানিয়েছিলেন, গাবতলী বাজার এলাকায় ফকির আলী নামে এক অটোরিকশা চালককে মারধর করছিলেন
মাদকাসক্ত ইল্লাল সরদার, সোহান ছিলেন ওই অটোরিকশা চালকের আত্মীয়।
জামালপুরে অটোরিকশা চালককে মারধরের প্রতিবাদ করায় যাত্রী খুন
সোহান এর প্রতিবাদ করলে তার বুকে ছুরি
মারেন ইল্লাল। স্থানীয়রা সোহানকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত
চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সোহানের
বাবা মো. ছামিউল ইসলাম (৫০) পরদিন দেওয়ানগঞ্জ থানায় ইল্লাল সরদারের বিরুদ্ধে হত্যা
মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার
হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইল্লাল ‘ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন’ বলে ঢাকার
সংবাদ সম্মেলনে জানান বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি
বলেন, ১৫ মে বিকাল সাড়ে ৫টায় সোহান মিয়া স্থানীয় লোকজন নিয়ে গাবতলী
বাজার এলাকায় গিয়ে ইল্লালের কাছে জানতে চান, কেন তিনি অটোচালক ফকির আলীকে মেরেছেন।
“এক
পর্যায়ে ইল্লাল সরদার রেগে গিয়ে সোহান মিয়াকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারার পর তার
সাথে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে সোহানের বুকে আঘাত করে। সোহান রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে
গেলে ইল্লাল দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।”
ইল্লাল
সরদারের বিরুদ্ধে খুন, চুরি, নারী নির্যাতন, মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট
নয়টি মামলা আছে। তার মধ্যে একটি মামলা তদন্তাধীন এবং বাকি আটটি আদালতে বিচারাধীন বলে
সিআইডির সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।