বরিশাল বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএইচএম মাহমুদুর রহমান বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্তদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাদের আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের রায়ও দিয়েছে আদালত।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার পাঁচ আসামিকে আদালত খালাস দিহয়েছে।
আরও তিন আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ঝালকাঠীর শিশু আদালতে তাদের বিচার রয়েছে।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ঝালকাঠীর রাজপুর উপজেলার বড়ইয়া গ্রামের তিন সহোদর ভাই বেলাল ফকির, হেলাল ফকির, ফয়সাল ফকির ও একই এলাকার জসিম খান।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামুন চৌধুরী মামলার নথির বরাতে জানান, পূর্ববিরোধের জেরে ২০১৯ সালের ২৫ মার্চ রাতে বড়ইয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজাপুর কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান শুভকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরদিন সকালে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর শুভর বাবা আবদুল্লাহ আল মাহবুব বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ছয়জনকে আসামি করে রাজাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানার পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রাপ্তবয়স্ক নয়জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল দেন। একই মামলার আসামি আরও তিন শিশু, যাদের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলাটি বরিশাল বিভাগীয় ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হলে সেখানে ২৪ স্বাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য নেন বিচারক।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদী ও তার স্বজনরা।
তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চাদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মালেক।