ক্যারিয়ারে বেশ কবার সুইপ, স্লগ সুইপ ও রিভার্স সুইপ খেলে আউট হওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। বিশেষ করে একটা সময় তার স্লগ সুইপে আউট হওয়া নিয়ে আলোচনা হয় অনেক। গত কিছুদিন ধরে তিনি তীব্র সমালোচনার মধ্যে আছেন রিভার্স সুইপ নিয়ে।
গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে লাঞ্চের মাত্র চার মিনিট আগে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন মুশফিক। ওই সময় দলের বড় ভরসা ছিলেন তিনি, তার বিদায় ডেকে আনে দলের পতন। তখন থেকে এই সিরিজ পর্যন্ত চলেছে তার সেই শট নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা।
এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে লম্বা ইনিংসে একটিও রিভার্স সুইপ খেলেননি তিনি। লঙ্কান স্পিনারদের বোলিংয়ে এই শট খেলার সুযোগ তার অনেক ছিল, দলের অবস্থাও ভালো। কিন্তু তিনি খেলেননি এই শট। ১০৫ রান করে যদিও তিনি আউট হন সুইপ খেলেই, তবে তা ছিল প্রথাগত সুইপ।
চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিককে প্রশ্ন করা হলো, পরিকল্পনা করেই রিভার্স সুইপ থেকে বিরত ছিলেন কিনা। শুরুতে হাসি মুখে তিনি বললেন, “সত্যি বলতে, আমি ভেবেছিলাম প্রথম প্রশ্নই এটা হবে যে, সুইপ শট খেলে আউট হলেন…।”
পরে তিনি ব্যাখ্যা করলেন, সমালোচনার কারণে বা কোনো উপলব্ধি থেকে নয়, উইকেটের কারণেই রিভার্স সুইপ খেলেননি তিনি।
“এটা আসলে নির্ভর করে উইকেটের আচরণের ওপর। ফার্স্ট লাইন অব ডিফেন্স যেটাকে বলে, আপনি যেসব উইকেটে ডিফেন্স করে টিকতে পারবেন, সেখানে তো আর অন্য শট খেলার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আমি মনে করি, এটা খুব ভালো উইকেট এবং ব্যাটিং বান্ধব উইকেট। এখানে যদি ডিফেন্স ভালো করেন, সোজা ব্যাটে ভালো খেলা যায়, অন্যান্য শট দরকার হয় না।”
রিভার্স সুইপ শট যে তার জন্য কার্যকর এবং আগেও সফলভাবে খেলেছেন, তা মনে করিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি জানি দেন, এই শট খেলা চলবে।
“আরেকটা জিনিস বলি, আমি কিন্তু রিভার্স সুইপ খেলে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছি। শুধু একটি নয়, দুটি করেছি। রিভার্স শট সফলভাবে খেলেছি। এটা আমি একটু বলে রাখতে চাই।”
“ভিডিও যাদের কাছে আছে, দেখে ইনশাল্লাহ বুঝতে পারবেন। ওখানে আমার দুটি দুইশ আছে এবং তিন-চারটা রিভার্স সুইপ করা আছে। অবশ্যই এটা আমার হাই রিস্ক শটগুলোর একটি, তবে নিকট ভবিষ্যতে খেলতে আমি অবশ্যই ভয় করব না।”
মুশফিকের রিভার্স সুইপ নিয়ে মূল আলোচনা-সমালোচনা যদিও ছিল শটটি খেলার সময় ও পরিস্থিতি নিয়ে। লাঞ্চের এত কাছে গিয়ে এমন ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলার কারণেই তাকে তোলা হয় কাঠগড়ায়। তবে পরিস্থিতির ব্যাপারটি এ দিন উল্লেখ করেননি মুশফিক।