ক্যাটাগরি

প্রসূতিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বের করার অভিযোগ, রাস্তায় প্রসব

বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের ‘মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ ও ‘সদর হাসপাতালের’ মাঝামাঝি রাস্তায় এই নারীর সন্তান প্রসব হয়।

তবে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে, সিজারের জন্য রোগীকে স্বজনরা তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নিয়ে যায়।

শিল্পী আক্তার নামের এই নারী লক্ষ্মীপুর শহরের দোকান কর্মচারী আজগর হোসেনের স্ত্রী। তারা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেরবেকি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

প্রসূতির মা নুরজাহান বেগম বলেন, প্রসব ব্যথা উঠলে শিল্পীকে সদর হাসপাতাল সংলগ্ন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। মাগরিবের নামাজের আগে তার ব্যথা বেড়ে যায়। সেখানে দায়িত্বে থাকা স্টাফ ইফতার করতে যান।

“এ সময় কর্তব্যরত এক আয়া স্বাভাবিক প্রসব হবে না বলে প্রসূতিকে সদর হাসপাতাল কিংবা কোনো প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে সিজার করতে চাপ দেন। এক পর্যায়ে প্রসূতিকে বের করে দেওয়া হয়।”

পরে মেয়েকে নিয়ে সদর হাসপাতালে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই তার সন্তান ভূমিষ্ট হয়, বলেন নুরজাহান। 

‘মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ ও ‘সদর হাসপাতাল’ ২/৩শ মিটারের ব্যবধানে অবস্থিত।

শিল্পীর মামাতো বোন রুনা আক্তার বলেন, “ঘটনা শুনে আমি সেখানে যাই। বাচ্চার মাথা দেখা যাচ্ছে বললেও আয়া তাদের প্রতিষ্ঠানে আমার বোনকে রাখতে রাজি হয়নি। আয়া বারবারই বলছিল বাইরে কোনো হাসপাতালে নিয়ে সিজার করাতে। কিন্তু কোনো হাসপাতাল নেওয়ার সুযোগ হয়নি। রাস্তাতে আমার বোন সন্তানের জন্ম দেয়।”

মা ও নবজাতককে এখন সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

জানতে চাইলে জেলা পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. আশফাকুর রহমান মামুন বলেন, ঘটনাটি শুনে তিনি এসে নার্স, আয়া ও অন্যান্য রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই প্রসূতির স্বজনরাই সিজার করার জন্য চাপ দিয়েছে। নার্স ও আয়া বলেছিল স্বাভাবিক প্রসব হবে। কিন্তু প্রসূতির স্বজনরা তা মানতে নারাজ ছিলেন। এতে তারা নিজেরাই সিজার করার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান।