বুধবার দুপুরে নবগঠিত
ঈদগাঁও উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর বনবিভাগের ভোমরিয়া ঘোনার রেঞ্জের আওতাধীন ভাদিতলা
রাঙাঝিরিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. আক্তারুজ্জামান
(৪০) যশোরের ইছাখালি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন ভোমরিয়াঘোনা
রেঞ্জের ফরেস্ট গার্ড (এফজি) পদে কর্মরত ছিলেন।
ঈদগাঁও থানার ওসি মো.
আব্দুল হালিম বলেন, দুপুরে বনে দায়িত্ব পালনকালে এক বনরক্ষী ‘নিজের’ নামে বরাদ্দ করা
বন্দুকের গুলিতে আহত হলে সহকর্মীরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছার
পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ
বা এজাহার দেওয়া হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
বনবিভাগের ভোমরিয়াঘোনা
বিটের কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক প্রধান (হেডম্যান) বাদশা মিয়া বলেন, দুপুরে বনবিভাগের
ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জের ভাদিতলা এলাকার পূর্বের গহীন পাহাড়ে মো. আক্তারুজ্জামান ও আরেক
সহকর্মী পাহারার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
“এ সময় তার (আক্তারুজ্জামান)
বন্দুকে ত্রুটি দেখা দিলে সেখানে বসে নিজেই মেরামতের চেষ্টা চালান। এক পর্যায়ে অসতর্কতাবশত
বন্দুক থেকে একটি গুলি গলা ভেদ করে অপর প্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে যায়।”
পরে তাকে সেখানে উপস্থিত
অন্য সহকর্মীরা উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান বলে তিনি জানান।
ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জ
কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, নিজের বন্দুকের গুলিতে আহত হওয়ার পরপরই আক্তারুজ্জামানকে
উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে পৌঁছলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে
মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান ঈদগাঁও থানার ওসি আব্দুল হালিম।