মুন্সীগঞ্জে বুধবার
এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিএনপি গুহা থেকে নাক বের করে করে কথা বলে। তারা ১৩ বছরে ঈদের
পরে, চাঁদের পরে, আমাবস্যার পরে, পূর্ণিমার পরে, অনেক আন্দোলনের তারিখ দিয়েছেন।
এ সময় তিনি মির্জা
ফখরুলের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের নেত্রী জেলে গেল এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার অপরাধে। ঢাকা
শহরে একটা বড় মিছিল করতে পারেন নাই, আপনারা আন্দোলন করে আওয়ামী লীগেকে নামিয়ে ফেলবেন।”
আন্দোলন করে আওয়ামী
লীগকে নামানো যাবে না বলে মন্তব্য করে শামীম বলেন, আন্দোলন কাকে বলে আওয়ামী লীগই জানে;
আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন জানে না। আপনাদের অবস্থা হচ্ছে ফিটনেসবিহীন গাড়ির মতো। এই মাওয়া
রোডে যেমন ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলে না। কয়েক দিন পরে বাংলাদেশের মানুষ আপনাদেরকেও বাংলাদেশের
রাজনীতি করতে দিবে না। কারণ আপনারা ক্ষমতায় গেলে হাওয়া ভবন সৃষ্টি করেন।
শামীম বিএনপি চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, “এতিমের টাকা মেরে খেয়ে আপনি জেলে যান, আর আপনার ছেলে তারেক
রহমান দুর্নীতির বরপুত্র। শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই। মানুষ বলে দুর্নীতিতে অনার্স, মানি
লন্ডারিং নিয়ে মাস্টার্স। এই হচ্ছে তারেক রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা। সে তারা রাষ্ট্রীয়
ক্ষমতায় আসবে সেটা বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় না।”
লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি
উপজেলার বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন
করেন। এ উপলক্ষে দুপুরে লৌহজংয়ের হাড়িদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘পদ্মা নদীর বাম তীর
সংরক্ষণ’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও
বলেন, আগামী ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ আবার নৌকায় ভোট দিবে।
৫ম বারের মতো শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
এই লক্ষ্যে তিনি দলের
সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
এনামুল হক শামীম তার
বক্তব্যে প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, গুণগত মান ঠিক রেখে নির্দিষ্ট সময়ে যেন প্রকল্পের
কাজ শেষ করা হয়। প্রকল্পের মান যেন এমন হয় যে, আগামী ৫০ বছরেও এ এলাকায় নদী ভাঙন দেখা
না দেয়।
পদ্মার ভাঙনে টঙ্গীবাড়ির
উপজেলার মূলচর, হাইয়ারপাড়সহ ৬টি গ্রাম বিলীন হওয়ায় হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে আশা করা
হচ্ছে। গত ২/৩ মৌসুমে এই উপজেলার কয়েকটি গ্রাম পদ্মায় হারিয়ে গেছে।
মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন
বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার
খড়িয়া থেকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দীঘিরপাড় পর্যন্ত ৯ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায়
পদ্মার ভাঙনরোধে ৪৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে
এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হবে। ১০টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ
প্রকল্পের কাজ করবে।
পরে উপমন্ত্রী পদ্মা
নদী শামুরবাড়ি পয়েন্টে জিও ব্যাগ ফেলে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং নদী তীরের কয়েকটি
স্থান পরিদর্শন করেন।
উদ্বোধন শেষে পানি
উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা
ইয়াসমিন এমিলি।