ক্যাটাগরি

প্রশ্ন ফাঁস: মাউশি ও কলেজের ৪ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ৫

এই ঘটনার সঙ্গে শিক্ষা ক্যাডারের বেশ
কয়েকজন কর্মকর্তার জড়িত থাকার তথ্যও পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও
বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার শাহাদাত হোসেন বলেন, তারা এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার
করেছেন। জড়িত অন্যদের ধরতেও অভিযান চলছে।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- মাউশির উচ্চমান
সহকারী আহসান হাবীব, একই অধিদপ্তরের অফিস সহকারী মো. নওশাদ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি
মহিলা কলেজের হিসাবরক্ষক মকবুল হোসেন, সরকারি তিতুমীর কলেজের গ্রন্থাগারের কর্মী আব্দুল
মালেক এবং পরীক্ষার্থী সুমন জমাদ্দার।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকের ৫১৩টি পদের নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছিল শনিবার।
ওই পাঁচশ পদের বিপরীতে আবেদন পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৮৩ হাজার জন। ঢাকার ৬১টি কেন্দ্রে
এক ঘণ্টার ওই পরীক্ষায় মোট প্রশ্ন ছিল ৭০টি (বহুনির্বাচনী প্রশ্ন)।

পরীক্ষার মধ্যে ইডেন কলেজ কেন্দ্র
থেকে সুমন জমাদ্দারকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, তার প্রবেশপত্রের
উল্টোপিঠে ছোট ছোট করে ৭০টি প্রশ্নেরই উত্তর লেখা ছিল। তার ফোন পরীক্ষা করে দেখা যায়
দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে কেউ একজন তার ফোনে ৭০টি প্রশ্নেরই উত্তর পাঠিয়েছে।

সুমনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় লালবাগ থানায়
মামলা করেন ইডেন কলেজের প্রধান সহকারী আব্দুল খালেক। ওই মামলায় পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার দেখানো
হয়েছে।