সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত বিজয় সরণি মোড় হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় আশপাশের সড়কে যানজট তৈরি হয়। এর প্রভাবে বনানী, গুলশান, মগবাজার, এমনকি বিজয়নগর পর্যন্ত সড়কে তৈরি হয় তীব্র জট।
বিজয় সরণির মোড়ে ভোর সাড়ে ৩টার দিকে দুর্ঘটনায় পড়া মালবোঝাই কভার্ড ভ্যানটি উড়োজাহাজ ক্রসিং থেকে তেঁজগাওয়ের দিকে যাচ্ছিল। আর বাসটি আসছিল ফার্মগেইটের দিক থেকে। সংঘর্ষের পর কভার্ড ভ্যানটি উল্টে যায়।

পুলিশের ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের শেরে বাংলা জোনের সহকারী কমিশনার শোভন চন্দ্র হোড় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাসটি বেশ কিছুক্ষণ পর সরানো হলেও কভার্ড ভ্যানটি সরাতে অনেক সময় লেগে যায়। ক্রেন এনে কভার্ড ভ্যানটি সরানোর পর সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাস্তায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।”
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ওই মোড়ে একটি গাড়ি সরাতে ছয় ঘণ্টা লাগার কারণ জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “বিষয়টি বেশ জটিল ছিল। বাসটি আমরা সকাল ৭টার দিকে সরাতে পেরেছি। কিন্তু মালবোঝাই বড় কভার্ডভ্যান সরানোর জন্য বড় ক্রেন প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়েছে।”
ওই দুর্ঘটনার কারণে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক যানজট ছড়িয়ে পড়ার কথা জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিজয় সরণির এই ঘটনার জের পুরো শহরে পড়েছে। এক দিকে বিমানবন্দর সড়ক, উত্তরা, অন্য দিকে বিজয়নগর পর্যন্ত জ্যামের প্রভাব পড়েছে।”
ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে সকালে রামপুরা থেকে মহাখালী আসার পথে গুলশান মোড়ে জটে পড়েন মো. মাসুদ। মহাখালী পর্যন্ত পৌঁছাতে তার লেগে যায় পৌনে এক ঘণ্টা। তবে বিজয় সরণির দুর্ঘটনার কারণে যে এ ভোগান্তি, সেটা তিনি জানতেন না।

মিরপুর থেকে কালশী ইসিবি চত্বর হয়ে কাকলীর দিকে আসার পথে র্যাডসন মোড়ের কাছে জটে পড়েন বেসরকারি চাকুরে চন্দন সাহা। সেখান থেকে তার কাকলী পৌঁছাতে লেগে যায় দেড় ঘণ্টার মত।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলল ম্যাপে ঢাকার ওই অংশের সড়কগুলো যানজটে ‘লাল’ হয়ে থাকতে দেখা যায়।
তবে বিজয় সরণি মোড় থেকে কভার্ড ভ্যান সরিয়ে ফেলায় এখন পরিস্থিরি উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সহকারী পুলিশ কমিশনার শোভন চন্দ্র হোড়।