গ্যাবন ফুটবল ফেডারেশকে দেওয়া চিঠিতে গত বুধবার সিদ্ধান্তটি
জানান বার্সেলোনা তারকা।
গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে নেশন্স কাপের সবশেষ
আসরের দলে শুরুতে ছিলেন অবামেয়াং। টুর্নামেন্ট
খেলতে ক্যামেরুন যাওয়ার পর কোভিড-১৯ পজিটিভ হন তিনি। করোনাভাইরাসে হার্টের সম্ভাব্য ক্ষতি
পরীক্ষার জন্য তাকে ইউরোপে ফেরত পাঠানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কোনো সমস্যা না ধরা পড়লেও ওই প্রতিযোগিতায় আর
অংশ নেওয়া হয়নি তার।
বোর্ডকে দেওয়া চিঠিতে জাতীয় দলে দীর্ঘ
ক্যারিয়ারে সবসময় সমর্থন দেওয়ার জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অবামেয়াং।
“গর্বের সঙ্গে দেশকে ১৩ বছর
প্রতিনিধিত্ব করার পর আমি আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষের ঘোষণা দিচ্ছি। আমি
গ্যাবনের মানুষ এবং যারা আমাকে ভালো ও খারাপ সময়ে সমর্থন করেছেন তাদের সবাইকে
ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
“যেদিন আমার অভিষেক
হয়েছিল… বা যেদিন আমি আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলাম, এমন অনেক দারুণ
স্মৃতি আমার হৃদয়ে থাকবে।”
২০১৫ সালে ‘আফ্রিকান ফুটবল অব দা ইয়ার’
খেতাব জিতেছিলেন অবামেয়াং। তখন তিনি
খেলতেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে। ২০১৮ সালে জার্মান ক্লাবটি ছেড়ে আর্সেনালে যোগ
দেন এই স্ট্রাইকার। আর এ বছরের শুরুতে নাম লিখিয়েছেন কাম্প নউয়ে।
ফ্রান্সে জন্ম নেওয়া অবামেয়াং দেশটিকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন অনূর্ধ্ব-২১ দলে। এরপর জাতীয়
দলে তিনি গ্যাবনের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। অবামেয়াংয়ের বাবা পিয়েরে-ফ্রাঁসোয়া অবামেয়াংও খেলেছেন
গ্যাবনের হয়ে। ১৯৯৪ সালে তার অধিনায়কত্বে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে প্রথম
খেলেছিল দেশটি।
বিদায় বেলায় বাবাকে স্মরণ করেছেন ৩২ বছর বয়সী
অবামেয়াং।
“আমি আমার বাবাকে ধন্যবাদ
জানাতে চাই, যিনি আমার মধ্যে তার মতো করে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছাশক্তি
জাগিয়েছিলেন। আশা করি গ্যাবনের হয়ে আমাকে খেলতে দেখে তিনি গর্বিত হয়েছেন।”
গ্যাবনের হয়ে ৭২টি ম্যাচ খেলা অবামেয়াং গোল করেছেন ৩০টি, যা দেশটির ইতিহাসে
সর্বোচ্চ।