ক্যাটাগরি

বাফেলোর হত্যাযজ্ঞে সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা তদন্তের নির্দেশ আদালতের

ওই ঘটনায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে আঙ্গুল তুলেছেন নিউ ইয়র্কের গভর্নর। সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো হামলার আংশিক দায় বহন করে বলে অভিযোগ গভর্নর ক্যাথি হোকুলের।

সমালোচকদের অভিযোগ, গানম্যানের পোস্ট মুছতে দেরি করেছিল সামাজিক মাধ্যমগুলো।

বুধবার নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস তদন্তের ঘোষণায় বলেন, “যে অনলাইন ফোরামগুলো বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রচার করে তার ঝুঁকি আবারও উঠে এসেছে বাফেলোর সন্ত্রাসী হামলায়।”

হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার পেইটন এস গেন্ড্রন বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের ব্যক্তিগত ইশতেহার গুগলে পোস্ট করেছিলেন এবং হত্যাযজ্ঞের পুরো ঘটনাই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচে লাইভ স্ট্রিম করেন।

“একজন মানুষ চাইলেই এমন কিছু করার বিস্তারিত পরিকল্পনা পরিণতির চিন্তা না করেই পোস্ট করতে পারছেন এবং পুরো বিশ্বের জন্য স্ট্রিম করতে পারছেন, এই বিষয়টা আতঙ্কের এবং দুর্বোধ্য,” বলেন নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল।

টুইচ দাবি করেছে, সহিংসতা শুরু হওয়ার দুই মিনিটের মাথায় স্ট্রিমিং বন্ধ করে দিয়েছিল তারা। তবে, মুছে দেওয়ার আগেই অন্যান্য স্ট্রিমিং সাইটগুলো বিষয়টি জেনে গিয়েছিল বলে দাবি করছে অ্যামাজনের মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটি।

লাইভস্ট্রিমে ধারণ করা ভিডিও কপির একটি লিংক সরাতে ফেইসবুক ১০ ঘণ্টা সময় নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর মধ্যে প্ল্যাটফর্মটিতে ওই লিংক শেয়ার হয়েছে ৪৬ হাজারবার। ভিডিওর আরেকটি কপি ভিন্ন আরেকটি প্ল্যাটফর্মে দেখা হয়েছে ৩০ লাখ বারের বেশি।

জেমস বলেছেন, অনলাইন ফোরাম ফোরচ্যান, এইটচ্যান এবং ডিসকর্ডও তদন্তের মুখে পড়বে। এই প্ল্যাটফর্মগুলোর সবকটিতেই গানম্যান নিজের পরিকল্পনা আগেই পোস্ট করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিবিসি জানিয়েছে, পুরো ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমগুলোর ভূমিকা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ক্যাথি হোকুল। বিবিসি বলছে, নিউ ইয়র্ক স্টেট পুলিশকে সামাজিক মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী হুমকির ওপর নজর রাখতে আলাদা ইউনিট গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।