বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা কয়েকটি ব্যাংকের
সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দুপুর থেকে শুরু করেন ট্রেজারি ও ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের নথি ও ডলার
সংগ্রহের অনলাইন ও নগদে বেচাকেনার তথ্য যাচাইয়ের কাজ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “সাম্প্রতিক
সময়ে ডলারের বিনিময় হার নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য চারটি টিম
নেমেছে।”
মহামারীর পর ইউক্রেইন যুদ্ধের
প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যে পড়েছে বিশ্বের অনেক দেশ। নিত্যপণ্য ও
জ্বালানির দাম বাড়ার পাশাপাশি ডলারের বিনিময় হারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।
বাংলাদেশেও উচ্চ আমদানি চাপে ডলারের বিনিময়
হার বেড়েছে দ্রুত গতিতে, অতীতে কখনো এতো দ্রুত বিনিময় হার বৃদ্ধি দেখা যায়নি।
ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধির সঙ্গে কমেছে টাকার
মান। বর্তমানে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়েছে
৮৭ টাকা ৫০ পয়সা; এর আগে যা ছিল ৮৬ টাকায় ৭০ পয়সা।
ডলারের উর্ধগতিতে গত দুই মাসে টাকার মান
তিন দফা কমানো হয়। সর্বশেষ ১৬ মে একদিনেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমানো হয় ৮০ পয়সা।
পরদিন
সকাল থেকেই
বাড়তে শুরু
করা ডলার
সন্ধ্যায় কোনো
কোনো মানি
এক্সচেঞ্জ ও খুচরায় ডলার বিক্রেতারা
১০২ টাকা
পর্যন্ত দরে
বিক্রি করেন;
এতটা দর
এর আগে
দেখা যায়নি।
এরপর বুধবার তা কিছুটা কমে ৯৯ থেকে ৯৭ টাকায়
নামে। বৃহস্পতিবার আরও কমে তা ৯৭ টাকা হয়েছে। তবে ব্যাংকগুলোতে নগদে ডলার বিনিময় হার
গত কয়েকদিন ধরে একই অবস্থায় রয়েছে। সর্বোচ্চ ৯৯ টাকা দিয়ে নগদে ডলার বিক্রি করছে আইএফআইসি,
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক।
আমদানি মূল্য পরিশোধে ব্যাংকগুলো ঘোষিত হারের
চেয়ে বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। এমন প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়
হার নিয়ে ব্যাংকগুলোর বাস্তবচিত্র দেখতে মাঠে নেমেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, “বাংলাদেশ
ব্যাংকের কাছ থেকে যেসব ব্যাংক ডলার নিচ্ছে… যে উদ্দেশ্যে নিয়েছে, তা সেভাবেই ব্যবহার
করছে কি না, আমাদের টিম সেটা দেখবে।”