বগুড়ার বিশেষ জজ এমরান
হোসেন চৌধুরী বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দুনীতি দমন কমিশনের
(দুদক) পিপি আবুল কালাম আজাদ জানান, নূর আফরোজ বেগম জ্যোতির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৫৩
লাখ ২২ হাজার ৭৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ২৮ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে
দুদক ২০১৪ সালে মামলা দায়ের করে। এর আগে নুর আফরোজ জ্যোতির কাছে সম্পদের হিসাব
চাইলে ২০১৩ সালর ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি হিসাব দাখিল করেন।
দুদকের বগুড়া সমন্বিত
জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদের করা ওই মামলাটির তদন্ত করেন
একই সংস্থার ওই সময়ের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হক।
তদন্ত শেষে দুদক বগুড়া
কার্যালয়ের ওই সময়ের কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পিপি আবুল কালাম আজাদ
জানান, অবৈধভাবে ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৭৯০ টাকার সম্পদ অর্জনের দায়ে জ্যোতিকে পাঁচ বছর এবং
২৮ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে আরও ২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর অবৈধভাবে
অর্জিত ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৭৯০ টাকার সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার পরপরই সাবেক
সংসদ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি বগুড়া জেলা মহিলা দলের সাবেক
সভানেত্রী, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাবেক সহ-সভাপতি, জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা। ২০০১-২০০৬
সাল পর্যন্ত অষ্টম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয়
সমবায় দলের সভানেত্রী নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি বগুড়া শহরের উত্তর কাটনারপাড়ার অধ্যাপক
আবদুর রউফের স্ত্রী।