ক্যাটাগরি

অবশেষে নায়ক কোহলি, টিকে রইল বেঙ্গালোর

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বেঙ্গালোরের জয় ৮ উইকেটে। ১৬৯ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় ৮ বল হাতে রেখে।

৫৪ বলে ৭৩ রানের ইনিংসে জয়ের নায়ক কোহলি। ৮ চার ও ২ ছক্কায় গড়া সাবেক ভারত অধিনায়কের ইনিংসটি।

এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত আসরে ১৩ ম্যাচে ১৯.৬৭ গড় আর ১১৩.৪৬ স্ট্রাইক রেটে কোহলির রান ছিল কেবল ২৩৬। ফিফটি করেছিলেন একটি, কিন্তু সেটি দলের কাজে আসেনি। বরং তার সেই মন্থর ইনিংস দলের পরাজয় ত্বরান্বিত করেছিল কি না, উঠেছিল সেই প্রশ্ন।

অবশেষে দলের সবচেয়ে প্রয়োজনের মুহূর্তে আসরে নিজের সেরা ইনিংসটি খেললেন তিনি।

কোহলি নায়ক হলে পার্শ্বনায়ক গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বল হাতে ২৮ রানে একটি উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে ১৮ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে ফেরেন তিনি। ইনিংসে ৫টি চারের পাশে ছক্কা ২টি।

রান তাড়ায় প্রথম ৫ বলে কোহলির রান ছিল ৩। এরপর মোহাম্মদ শামির তিন বলের মধ্যে দুটি চার মেরে ডানা মেলে দেন তিনি।

পরের ওভারে টানা দুটি বাউন্ডারি মারেন হার্দিক পান্ডিয়াকে। দ্বিতীয়টিতে যদিও আউট হতে পারতেন। বাউন্ডারির কাছাকাছি কঠিন ক্যাচটি নিতে পারেননি রশিদ খান।

১৬ রানে জীবন পাওয়া কোহলি পরে রশিদকে ছক্কা হাঁকিয়েই ফিফটি পূর্ণ করেন ৩৩ বলে। টি-টোয়েন্টিতে আফগান লেগ স্পিনারের বলে তার প্রথম ছক্কা এটিই।

১১৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ফাফ দু প্লেসির বিদায়ে (৩৮ বলে ৪৪)। কোহলি পরে আরেকটি ছক্কা হাঁকান রশিদকে। ওই ওভারেই থামে তার ইনিংস। বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় গুগলিতে পরাস্ত হয়ে স্টাম্পড হন তিনি। বাকিটা সারেন ম্যাক্সওয়েল।

১৪ ম্যাচে আট জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর। প্লে-অফে যেতে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে এখন শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচের দিকে। সেখানে দিল্লি হারলে প্লে-অফের টিকেট পাবেন কোহলিরা।

বেঙ্গালোরের জয়ে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও পাঞ্জাব কিংসের। দুই নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটান্স ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে আগেই।

বাকি দুটি স্থানের জন্য লড়াইয়ে আছে এখন বেঙ্গালোর, দিল্লি ও রাজস্থান রয়্যালস। মুম্বাই, চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স ছিটকে গেছে আগেই।