জর্ডানের সিংহাসনের সাবেক উত্তরাধিকারী
হামজাকে গত বছর থেকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। বিদেশি চক্রান্তে অনুপ্রাণিত হয়ে হামজা
দেশটির রাজতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিলেন বলে এপ্রিল ২০২১ এ তার বিরুদ্ধে
অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু বাদশার প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর শাস্তি থেকে রেহাই
পান তিনি।
দেশটির একটি রাজকীয় আদালতের বিবৃতিতে
বলা হয়েছে, রাজপরিবারের একটি পরিষদ বিচ্ছিন্ন এ রাজপুত্রের চলাফেরা, বসবাসের স্থান
ও যোগাযোগের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের আদেশ দেয় আর বাদশা তার অনুমোদন করেন।
হামজার সঙ্গে কথিত ষড়যন্ত্রে
জড়িত থাকার দায়ে রাজপরিবারের একজন প্রধান উপদেষ্টা বাসেম আবদাল্লাহ ও অপেক্ষাকৃত ছোট
একটি পদে থাকা আরেক কর্মকর্তাকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
১৯৯৯ সালে বাদশা হুসেন মারা যাওয়ার
পর তার ছেলে আব্দুল্লাহ জর্ডানের বাদশা হন। তখন হামজাকে (৪২) জর্ডানের যুবরাজ হিসেবে
ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ বছর পর সংবিধান অনুযায়ী সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে
হামজার বদলে নিজের ছেলেকে যুবরাজ হিসেবে ঘোষণা করেন আব্দুল্লাহ।
রাজপরিবারের এই দ্বন্দ্বে অস্থির
মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীল দেশ হিসেবে পরিচিত জর্ডানের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জর্ডানবাসীদের কাছে এক চিঠিতে
বাদশা বলেছেন, তিনি তার ছোট সৎ ভাইয়ের বিষয়ে ‘পরম আত্মসংযম, সহনশীলতা ও ধৈর্য’ ধরেছেন
কিন্তু সে কখনোই সিংহাসন দখলের ‘মোহ’ ত্যাগ করেনি।
“আরামদায়ক জীবনযাপন করার জন্য
হামজাকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে কিন্তু জাতি, প্রতিষ্ঠান, পরিবার ও জর্ডানের
স্থিতিশীলতাকে অবমূল্যায়ন করার কোনো সুযোগ তাকে দেওয়া হবে না,” চিঠিতে বলেছেন বাদশা
আব্দুল্লাহ।