ক্যাটাগরি

কাবরেরার ধাঁচে অভ্যস্ত হচ্ছেন সাদ-হেমন্তরা

ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ ও এশিয়ান কাপের বাছাই সামনে রেখে কিংস অ্যারেনায় শুক্রবার চতুর্থ দিনের অনুশীলন সেরেছে দল। প্রস্তুতির মূল্যায়ন করতে গিয়ে ইতিবাচক কথা শোনালেন সহকারী কোচ।

“মুল থিম ঠিক রেখে গ্রুপ ডিফেন্ডিং, মিডফিল্ডার, ফরোয়ার্ডদের নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করছি, আক্রমণে-রক্ষণে কে কাকে, কিভাবে সাহায্য করতে পারে সেটা নিয়েও কাজ হচ্ছে। জাতীয় দল কোন ধাঁচে খেলে, সেটার সঙ্গে নতুনরা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। যখন আমরা পুরো দল পাব, তখন ট্যাকটিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করব।”

“দলে নতুন যারা এসেছে বা অনেক দিন পর যারা এসেছে, তাদের জন্য অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। তবে লক্ষ্য করলে দেখবেন, তারা তাদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং তারা বুঝে গেছে কোচ কী চাইছে তাদের কাছে।”

বাছাইয়ের তিন প্রতিপক্ষ ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৮তম) চেয়ে এগিয়ে। বাহরাইন (৮৯তম), তুর্কমেনিস্তান (১৩৪তম) ও স্বাগতিক মালয়েশিয়ার (১৫৪তম) বিপক্ষে তাই পথটা মসৃণ হবে না মোটেও।

প্রতিপক্ষের শক্তি-সামর্থ্য বিবেচনা করে পরিকল্পনা সাজানোর কথা জানালেন মাসুদ পারভেজ। এএফসি কাপের কারণে ক্যাম্পে না থাকা বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা ফিরলে সবকিছু পুরোদমে শুরু হবে বলে।

“খেলোয়াড় রিক্রুট থেকে শুরু করে অনুশীলনের পরিকল্পনা সাজানো, সবকিছুই আমরা প্রতিপক্ষের কথা ভেবে করছি। যখন কিংসের খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে যোগ দিবে, তখন মোটিভটা পরিষ্কার হবে আমরা কী করতে যাচ্ছি।”

“সকালে আমরা ডিফেন্ডারদের নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করি, ওদেরকে বিভিন্ন ভিডিও দেখাই। মিডফিল্ডার, গোলকিপার, আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের নিয়ে আলাদা আলাদা অনুশীলন চলছে, এক একজনকে নিয়ে আলাদাভাবে অনুশীলন হচ্ছে, যাতে সবশেষ ম্যাচের সেরা একাদশে যারা ছিল, তাদের মানের কাছাকাছি এদের নিতে পারি। এরা যদি সেরা একাদশের খেলোয়াড়দের পুশ করতে পারে, তাহলে সবার খেলার মান বেড়ে যাবে।”

আগামী ৮ জুন মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে শুরু হবে এশিয়ান কাপের বাছাই। ১ জুন ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে তাদের মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।