ক্যাটাগরি

ইউক্রেইন যুদ্ধের ‘ভুল তথ্য’ আটকাতে টুইটারের সতর্ক বার্তা

নিজস্ব সামাজিক মাধ্যমের ভুল তথ্য
নিয়ন্ত্রণে, সতর্ক বার্তা দেখানোর বিষয়টি প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে বৃহস্পতিবার।

ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন
বিষয়ক ভুল তথ্য আটকানোর এই সিদ্ধান্ত টুইটারের নতুন নীতিমালার অংশ। সঙ্কটের সময় প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে ভুল তথ্য নিয়ন্ত্রণ
করবে, সেই বিষয়টি নীতিমালায় উল্লেখ করেছে টুইটার। যদিও এ আগ্রাসনকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’
হিসেবে আখ্যা দিয়েছে মস্কো।

সামাজিক মাধ্যমে কীভাবে ভুল তথ্য
নির্ধারণ এবং নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে, সেই প্রশ্নে এরইমধ্যে তদন্তের মুখে পড়েছে বিভিন্ন সামাজিক
মাধ্যম।

টুইটার বোর্ড তাদের কোম্পানিকে টেসলা
সিইও ইলন মাস্কের কাছে বিক্রি করতে রাজি হয়েছে। মাস্কের মতে, সামাজিক মাধ্যমটি বাক
স্বাধীনতার একটি প্ল্যাটফর্ম হওয়া উচিত।

টুইটারে কোনো টুইট নীতিমালা লঙ্ঘন
করছে কি না, সেটি ব্যবহারকারীকে জানাবে নতুন এই সতর্ক বার্তা। সেই টুইট অন্যান্য ব্যবহারকারী
দেখতে এবং সেখানে মন্তব্য করতে পারলেও প্ল্যাটফর্মটি এই ধরনের টুইট ছড়ানোর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
করবে এবং রিটুইট করার সুবিধাও বন্ধ করে দেবে।

টুইটারের পদক্ষেপটি বড় ধরনের ক্ষতি
এড়ানোর কার্যকর উপায় হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি, এটি টুইটারে ব্যবহারকারীর বক্তব্য
সংরক্ষণ করবে ও একে সুরক্ষা দেবে। –রয়টার্সের প্রতিবেদককে জানিয়েছেন টুইটারের নিরাপত্তা
প্রধান ইয়োয়েল রথ।

ভেরিফাইড ব্যবহারকারী অথবা সরকারী
প্রোফাইলের মতো হাই-প্রোফাইল অ্যাকাউন্টের টুইটে থাকা ভুল তথ্যে তুলনামূলক বেশি সতর্ক
বার্তা দেবে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া, সেসব কনটেন্টে বেশি সতর্ক বার্তা থাকবে, যেগুলো
সঙ্কট কবলিত এলাকায় থাকা জনগণের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

টুইটার সেই সব পরিস্থিতিকে সঙ্কট
হিসেবে বিবেচনা করে, যেখানে বেশি জীবন নাশের, শারীরিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য বা মৌলিক
জীবিকার হুমকি রয়েছে।

আন্তর্জাতিক সামরিক আগ্রাসনের পাশাপাশি
গণহত্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ঘটনার কথা মাথায় রেখে প্রাথমিকভাবে নতুন এই নীতিমালা
চালুর কথা জানিয়েছে টুইটার।

“যদিও ইউক্রেইনে যুদ্ধ শুরুর আগে
থেকে এই নীতিমালা নিয়ে কাজ চলছে, তবে, যুদ্ধ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে।”
–বলেছেন রথ।