তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া আনানুষ্ঠানিক ফলাফলে এগিয়ে লেবার পার্টি।
ভোটের ফলাফলে হারের ইঙ্গিত পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায়ই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নিজের পরাজয় মেনে নিয়ে প্রতিপক্ষ আলবানিজকে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি নিজ দল লিবারেলসের প্রধানের পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আসন সংখ্যা ১৫১টি। একক সরকার গঠন করতে হলে অন্তত ৭৬টি আসনে জয় প্রয়োজন।
এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। লেবার পার্টি ৭২টি আসনের জিততে চলেছে। মরিসনের লিবারেল-ন্যাশনাল জোট পাচ্ছে ৫৫টি আসন। ইনডিপেনডেন্ট এবং দ্য গ্রিনস পেতে যাচ্ছে ১১টি আসন। ১৩টি আসনের ফল এখনো বোঝা যাচ্ছে না বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে লেবার পার্টির আরো চারটি আসন প্রয়োজন। এখনো নিশ্চিত না হওয়া ১৩ আসন থেকে যদি লেবার পার্টি চারটি আসন পেয়ে যায় তবে তো হলোই। না পেলে কোনো ছোট দলের সঙ্গে জোট করে তাদের সরকার গঠন করতে হবে।
নিজের পরাজয় স্বীকার করে মরিসন বলেছেন, ‘‘আমরা একটি ভয়াবহ অস্থির সময় পার করছি। এই ভাঙন ঠিক করা আমাদের দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে ভোট হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়
‘‘আজ রাতে, আমি বিরোধী দলের নেতা এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচনে জয়ের জন্য আজ সন্ধ্যায় আমি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি।”
এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরো বেশি কাজ করার এবং ক্ষমতায় ভারসাম্য বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৫৯ বছরের আলবানিজ।
স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাতের পর জয়ের ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘আমি অস্ট্রেলিয়াকে একত্রিত করতে চাই। আমি আমাদের অভিন্ন উদ্দেশ্য খুঁজতে চাই এবং ঐক্যের প্রচার করতে চাই, ভয় বা বিভাজন নয়।”
আলবানিজ দ্রুত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চান। যেন তিনি আগামী মঙ্গলবার থেকে জাপানের রাজধানী টোকিওতে শুরু হতে যাওয়া কোয়াড সিকিউরিটি গ্রুপিংয়ের একটি সভায় যোগ দিতে পারেন।
তিনি অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের জন্য সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি একটি দুর্নীতিবিরোধী কমিশন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।