শনিবার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল এমন হুঁশিয়ারি দেন।
“এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ছাত্র দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্যাতন-মামলা-হামলা-গ্রেপ্তার চলছে।
“ঈদুল ফিতরের পর থেকে অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে কোনো কারণ ছাড়াই ছাত্র দলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বার বার গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
“আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এভাবে ছাত্র দলের সভাপতিসহ নেতা-কর্মীদের বার বার গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে হয়রানি, নির্যাতন, মামলা গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না। এই নির্যাতন বন্ধ না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
গত শুক্রবার রাতে ধানমন্ডি এলাকায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় রওনককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা এবং বাকিদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক।
জুয়েল বলেন, “এই সময়ে ৭/৮ জন সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের প্যান্টের বেল্ট ধরে টানা হেঁচড়া করে তাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।
“ছাত্র দলের সভাপতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৪০/৫০ জন কর্মীর ওপর পুলিশ অশালীন আচরণ ও মারধরের ঘটনা ঘটায়।”
সেখান থেকে ময়মনসিংগ ছাত্র দলের যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ ও কক্সবাজার জেলার সাবেক সমাজ সেবা সম্পাদক আবদুর রহমান বাবুকে মারধর করে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযোগ করে তাদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
ছাত্র দল সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ছাত্র লীগের অপকর্ম আর দেশজুড়ে চলমান অরাজকতা আড়াল করতেই সরকার পরিকল্পিতভাবে ছাত্র দল সভাপতিকে গ্রেপ্তারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
“আমাদের সভাপতিকে বিনা কারণে বার বার গ্রেপ্তার ও হয়রানির এই অপচেষ্টা হচ্ছে। এহেন ঘটনার আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র দলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদব রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসার মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।