ক্যাটাগরি

চীনের বাইরে উৎপাদন বাড়াতে চায় অ্যাপল

গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে অ্যাপলের উৎপাদন
কাঠামোতে আসন্ন পরিবর্তনের খবর জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। কোভিড লকডাউনের কারণে
অ্যাপল চীন ছেড়ে অন্য দেশে উৎপাদন বাড়াতে চাইছে এবং সম্ভাব্য উৎপাদক দেশের তালিকায়
ভিয়েতনাম ও ভারত গুরুত্ব পাচ্ছে বলে উঠে এসেছে দৈনিকটির প্রতিবেদনে।

চীনে কোভিড লকডাউনের কারণে আবারও জটিলতা
তৈরি হয়েছে অ্যাপলের পণ্য ও কাঁচামালের সরবরাহ ও উৎপাদন ব্যবস্থায়। অ্যাপলের ৯০ শতাংশ
হার্ডওয়্যার পণ্য নির্মাণ করে চীনের চুক্তিভিত্তিক উৎপাদন কারখানাগুলো।

তবে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র
সরকারের মধ্যে রেষারেষি বাড়তে থাকায় অ্যাপলের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীলতা ঝুঁকিপূর্ণ
হয়ে উঠছে। অন্যদিকে, এপ্রিল মাসেই রয়টার্স জানিয়েছিল, চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে লকডাউনের
কারণে উৎপাদনে আইফোনের সংখ্যা কমে আসতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক
অস্থিরতা বাড়তে থাকায় অ্যাপল চীন থেকে হার্ডওয়্যার পণ্যের উৎপাদন সরিয়ে নেওয়ার কথা
বিবেচনা করছে বলে ২০১৯ সালেই জানিয়েছিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তবে, মহামারীর কারণে
পিছিয়ে যায় সেই পরিকল্পনা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মহামারীর প্রকোপ কমতে থাকায় পুরনো
পরিকল্পনা নিয়ে আবারও আগাতে চাইছে হয়েছে আইফোন নির্মাতা।

তবে, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতাকে হিসেবের
বাইরে রাখলে উৎপাদকদের জন্য চীন এখনও একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উৎপাদন খাতে দেশটির অবকাঠামোগত
সমর্থন হার্ডওয়্যার নির্মাতাদের আকৃষ্ট করার একটি বড় কারণ। এ ছাড়াও দেশটিতে কম খরচে
দক্ষ কর্মীর সরবরাহ রয়েছে, আরও আছে বিশাল স্থানীয় বাজার।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য অনুযায়ী,
বিশ্বব্যপাী অ্যাপল যে পরিমাণ পণ্য বিক্রি করে, তার এক-পঞ্চমাংশ বিক্রি হয় চীনেই।

বর্তমানে ভারত অ্যাপলের বিবেচনার শীর্ষে
আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন দৈনিকটি। ভারতেও উৎপাদন খরচ কম এবং জনসংখ্যাও বেশি। ইতোমধ্যেই
ভারনতীয় কারখানায় স্থানীয় বাজারের জন্য আইফোন উৎপাদন করছেন চুক্তিভিত্তিক নির্মাতারা।
দেশটিতে অ্যাপল পণ্যের বিক্রিও বাড়ছে।

তবে, চীনভিত্তিক নির্মাতাদের জন্য ভারতে
উৎপাদন কারখানা নির্মাণ কাজ সহজ হবে না বলে মন্তব্য করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
ভূরাজনৈতিক রেষারেষির কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো নয়। ফলে, গুরুত্ব পাচ্ছে
ভিয়েতনামসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্য দেশগুলো।

এ প্রসঙ্গে মন্তব্য জানতে অ্যাপলের সঙ্গে
যোগাযোগ করেও তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর পায়নি ভার্জ।