চুল পড়া বা টাক হওয়ার বিষয়টা ভাবলেই সাধারণত প্রাপ্ত বয়স্কদের কথা মনে হয়। তবে অনেকক্ষেত্রেই কিশোর-কিশোরীরাও চুল হারাতে শুরু করে।
এই বিষয়ে টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. সতিশ ভাটিয়া বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেন।
১. হরমোনের পরিবর্তন। ২. অপর্যাপ্ত পুষ্টি। ৩. অতিরিক্ত মানসিক চাপ। ৪. ওষুধ। ৫. অতিরিক্ত স্টাইলিং। ৬. ট্র্যাকশন অ্যালোপেসিয়া (শক্ত করে চুল বাঁধা বা কোনো কারণে টান লাগা থেকে চুল পড়া)। ৭. অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া (বিভিন্ন কারণে মাথার মধ্যভাগ থেকে চুল পড়া)। ৮. অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিপরীত প্রতিক্রিয়া কারণে চুল পড়া)। ৯. ট্রিকোটিলোম্যানিয়া (চুল টানার অভ্যাস)। ১০. স্বাস্থ্যগত সমস্যা। ১১. কোভিড।
টেলোজেন বা শেডিং পর্যায় হল চুল বৃদ্ধি চক্রের সময়ের বিশ্রাম পর্যায়।
ডা. সতিশ বলেন, “এই টেলোজেন অবস্থা অনেক সময় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দীর্ঘ হয়। বিশেষ করে কোভিড থেকে ভালো হওয়ার পর এই অবস্থা অনেকের মাঝেই দেখা গেছে। যে কারণে চুল পড়ার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে চুল গজায় দেরিতে।”
কৈলোরে জীবন জ্ঞান অর্জন ও উপভোগের মাধ্যমে কাটাতে হবে, এই সময়ে চুল পড়া নিয়ে খুব একটা চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
বয়স বিশের গোড়ায় চুল পড়ার সমস্যা সাধারণত হরমোনের পরিবর্তন, ওষুধ, শক্ত করে চুল বাঁধা, স্টাইল করা বা প্রদাহ ইত্যাদির কারণে হয়ে থাকে।
তবে চুল পড়া সমস্যা খুব বেশি দেখা দিলে যে কোনো কেশ বা চর্ম বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা যেতে পারে।
ছবির মডেল: আশা। আলোকচিত্র: রাইনা মাহমুদ। বিন্যাস ও পরিকল্পনা: আলি আফজাল নিকোলাস। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন: