রোববার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মৎস্যজীবী লীগের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি নেতারা। তাদেরই আজকে টপ টু বটম পদত্যাগ করা উচিত। শেখ হাসিনার সফলতা আছে। তারা (বিএনপি নেতারা) ব্যর্থ। ব্যর্থতার জন্য তারা পদত্যাগ করবেন।
“সফল প্রধানমন্ত্রী তিনি বাংলার জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতায় আছেন। এখনও জনপ্রিয়তায় শতকরা একশর মধ্যে ৯০ ভাগ। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আছেন। সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন, প্রশংসিত হচ্ছেন।”
বিএনপিই ‘আগুন সন্ত্রাসের’ হোতা মন্তব্য করে কাদের বলেন, “এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। কত মানুষকে আগুনে পুড়িয়েছে। বাসে আগুস। বাস চালক, সিএনজি চালক, পার্কিং করা বাসে আগুন দিয়েছে কে? বিএনপি। তারা আজ বড় বড় কথা বলে।
“তারা শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বলে, এটা কি জনগণের দাবি? বিএনপির দাবিতে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবে কেন? পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য পদত্যাগ করবেন? এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য পদত্যাগ করবেন?”
“মেট্রো রেল নির্মাণের জন্য পদত্যাগ করবেন? বাংলাদেশকে পরমাণু বিশ্বে সদস্য করার জন্য পদত্যাগ করবেন? ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পদত্যাগ করবেন? ছিটমহল সমস্যার শান্তিপূর্ণ বিনিময় যিনি করেন তিনি কি পদত্যাগ করবেন? বাংলাদেশের মত আর এক বাংলাদেশ, সুনীল সমুদ্র বিজয় যিনি করেছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন? তিনি সারা বাংলার প্রতিটি গ্রামে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, তিনি কি পদত্যাগ করবেন? জনগণ কি তার পদত্যাগ চায়? বিএনপির কথায় শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবে না।”
সরকার পরিবর্তন করতে চাইলে বিএনপির জন্য নির্বাচনই ‘একমাত্র উপায়’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি ক্ষমতাসীনদের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত ‘পানি ঘোলা’ করে ঠিকই যাবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দেশের মানুষ ভালো আছে, বিএনপির মন খারাপ। মানুষ ভালো থাকলে বিএনপির মন খারাপ; শেখ হাসিনার উন্নয়ন বিএনপির জ্বালা। আগামী মাসে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে- এ কথা শুনলেই মুখ কালা হয়ে যায়। এ কথা কেউ বললেই মুখ কালা হয়ে যায়।”
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেব চিৎকার চেচামেচি করে লাভ নেই। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা ছাড়ার অন্য কোনো বিকল্প পথ নাই। কাজেই সরকার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে। সোজা পথে আসেন, বাঁকা পথে গেলে হবে না। আগুন সন্ত্রাস করে নিজেদের জনপ্রিয়তা যা ছিল, সেটাও হারিয়েছেন।”