২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে পথে ফেরাতে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক শুরু থেকেই খেলেন আস্থার সঙ্গে। শুরুতে একটু নড়বড়ে মনে হচ্ছিল লিটনকে। সেই সময়ে বারবার এগিয়ে গিয়ে এই কিপার-ব্যাটসম্যানের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মুশফিককে।
একবার থিতু হয়ে যাওয়ার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি লিটনকে। ৪৭ রানে একবার ক্যাচ তুলে দিয়ে বেঁচে যাওয়ার পর তিনিই আগে পৌঁছান পঞ্চাশে। একটু পর ফিফটি পেয়ে যান মুশফিকও।
থিতু হয়ে যাওয়ার পর লঙ্কান বোলিং একদমই ভাবাতে পারেনি লিটনকে। স্পিনারদের খেলেছেন অনায়াসে। পেসারদের শর্ট বলে চেপে ধরার পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছেন দারুণ সব পুলে। এক পর্যায়ে লেগে তিন জন সীমানায় দাঁড় করিয়েও পার পাননি আসিথ ফার্নান্দো। লিটনের ব্যাটে হজম করেন বাউন্ডারি।
এক সময়ে দুই জনের রান কাছাকাছিই ছিল। লিটন ব্যাট করছিলেন ৭৮ রানে, মুশফিক ছিলেন ৭৬ রান। প্রাভিন জয়াবিক্রমার ওভারে তিন চার মেরে এগিয়ে যান লিটন। পরে ওভার থ্রোয়ে বাউন্ডারিতে পৌঁছান সেঞ্চুরিতে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগেও দুইবার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে আউট হন ৯৪ রানে, এবার প্রথম টেস্টে একই মাঠে বাজে এক শটে বিদায় নেন ৮৮ রানে। মিরপুরে আর কোনো ভুল করলেন না। দারুণ সব শটের পসরা সাজিয়ে ১৪৯ বলে পৌঁছান তিন অঙ্কে। সবশেষ আট টেস্টে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। প্রথম ২৫ ম্যাচে ছিল না একটিও!
লিটন যখন ছুটছিলেন দারুণ গতিতে তখনও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। নিজের জোনে বল পেয়ে কিংবা বাজে বল পেলেই কেবল বাউন্ডারি মারছিলেন তিনি। খেলছিলেন মূলত এক-দুই নিয়ে।
এভাবে খেলেই ক্যারিয়ারে প্রথমবার টানা দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিক। টেস্ট ক্রিকেটে নবমবারের মতো ছুঁয়েছেন তিন অঙ্ক, এর তিনবারই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
আগের ম্যাচে নিজের মন্থরতম সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক, এবার তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেন ২১৭ বলে।
সেঞ্চুরি করার পথে তারা উপহার দিয়েছেন ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি। ২৫ বা এর কম রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ইতিহাসের সেরা জুটির কীর্তিও গড়েছেন তারা।