রোববার তেহরানে নিজ বাড়ির সামনে গাড়িতে থাকা অবস্থায় মোটরসাইকেলে আসা দুই বন্দুকধারীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হন উর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা। তার নাম সায়াদ খোদাই। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
বিবিসি জানায়, কর্নেল খোদাই রেভল্যুশনারি গার্ডের ছায়া বৈদেশিক অভিযান পরিচালনা শাখা এলিট কুদস বাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইরানের শত্রুদেরকে দায়ী করেছেন। ঘটনার পেছনে বিশ্বের দাম্ভিক দেশগুলোর হাত আছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমন দেশ বলতে মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেরকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
রাইসি বলেন, “আমি এই অপরাধের ঘটনা নিবিড়ভাবে তদন্তের জন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ডাকছি। সম্মানিত এই শহীদের (সায়াদ খোদাই) পরিশুদ্ধ রক্তের জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ অবশ্যই নেওয়া হবে, এ ব্যাপারে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।”
খোদাই হত্যার দায় কেউ স্বীকার করেনি। ২০২০ সালের পর এটিই ইরানে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। ২০২০ সালের নভেম্বরে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণুবিজ্ঞানী মহসেন ফাকরিজাদেহ হত্যার শিকার হন। সেই হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল ইরান। ইসরায়েল তখন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার কিংবা অস্বীকার কোনওটিই করেনি।
সাম্প্রতি কয়েকবছরে কুদস বাহিনীর যেসব নেতা নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে খোদাই দ্বিতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে বিমান হামলায় কুদস ফোর্সের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হন।
তার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। সোমবার ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানিয়েছে, কর্নেল খোদাই বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ইসরায়েলি এবং ইহুদি নিশানায় হামলার চক্রান্তে জড়িত ছিলেন। কোন সূত্র থেকে এমন খবর পাওয়া গেছে সেকথা জানানো হয়নি গণমাধ্যমে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, রোববার খোদাই গাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তাকে পাঁচবার গুলি করা হয়েছে। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর মুখপাত্র রমাজান শরিফ বলেছেন, “কর্নেল খোদাই হত্যাকাণ্ড ইরানি জাতির শত্রুদেরকে মোকাবেলা করাসহ জাতীয় স্বার্থ, স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার সুরক্ষায় রেভল্যুশনারি গার্ডকে আরও দৃঢ়প্রত্যয়ী করবে।”