চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠান দুটি প্রকল্পের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সঙ্গে
বে টার্মিনাল নির্মাণ কাজের তদারকিও করবে বলে জানিয়েছেন বে টার্মিনাল প্রকল্পের ফোকালপারসন
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল আলম।
গত মাসে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান
নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ মে কোরীয় প্রতিষ্ঠান দুটির
সাথে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করবে চট্টগ্রাম বন্দর।
ডিয়েন ইয়াং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এবং কুনওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড
কনসাল্টিং কোম্পানি লিমিটেড এই কাজ পাচ্ছে। তাদের সঙ্গে ১২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকায়
চুক্তি হচ্ছে।
প্রকৌশলী রাফিউল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চুক্তির আওতায় কোরীয়
প্রতিষ্ঠান দুটি পূর্ণাঙ্গ নকশা প্রণয়ন, টার্মিনাল নির্মাণের দরপত্রের কাগজপত্র তৈরি
এবং নির্মাণ কাজের তদারকি করবে।
তিনি জানান, চুক্তি হওয়ার পর তিন-চার মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠান দুটি পূর্ণাঙ্গ
নকশা করবে। এরপরে তারা নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধান করবে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গা সমুদ্র
সৈকতের কাছে হতে যাওয়া বে টার্মিনালকে বলা হচ্ছে ‘ভবিষ্যতের চট্টগ্রাম বন্দর’। বে-টার্মিনালের প্রস্তাবিত স্থানের পূর্ব
পাশে পোর্ট এক্সেস রোড ও রেল লাইন এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের খেঁজুরতলার বিপরীত থেকে কাট্টলী
পর্যন্ত অংশে পলি জমে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চর সৃষ্টি হয়েছে। এই চরেই বে টার্মিনাল
নির্মাণ হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলে দিনে জোয়ারের সময় সর্বোচ্চ চার ঘণ্টা সময়ে
নয় দশমিক ৫০ মিটার ড্রাফট ও ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ চলাচল করতে পারে। বে টার্মিনাল
নির্মিত হলে দিনে-রাতের যে কোনো সময়ে এর চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্য ও ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে
পারবে।
চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে আসা জাহাজগুলো সর্বোচ্চ ১৮০০ কন্টেইনার বহন
করতে পারে। বে টার্মিনালে ৫০০০ হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভিড়তে পারবে।
বে টার্মিনাল প্রকল্পের আওতায় সেখানে তিনটি টার্মিনাল নির্মিত হবে।
এর একটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে করবে। বাকি দুটি টার্মিনাল পিপিপি’র আওতায় বিদেশি বিনিয়োগে নির্মাণ করা হবে।
সম্প্রতি
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান এক অনুষ্ঠানে বে টার্মিনাল প্রকল্পের
অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এ প্রকল্পের জন্য
৬৭ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও ৮০৩ একর জমি নামমাত্র
মূল্যে বন্দরের অনুকূলে বরাদ্দ দিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়কে
অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
বন্দরের বে টার্মিনালের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু
বে টার্মিনাল নিয়ে সিদ্ধান্ত যে কোনো সময়: প্রতিমন্ত্রী
বন্দরের বে টার্মিনালের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু
চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল নির্মাণে ‘ছাড়পত্রের’ বাধা কাটল
বন্দরের বে টার্মিনাল নির্মাণ শুরু হবে আগামী বছর
চট্টগ্রাম বন্দরের ‘বে টার্মিনাল’ চালু ২০২৪ সালেই: প্রতিমন্ত্রী