সপ্তম ওভারে বিদায় নেন বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। রাউন্ড দা উইকেটে এসে ক্রিজের বেশ দূর থেকে বল করেন কাসুন রাজিথা। সেই অ্যাঙ্গেলেই বিভ্রান্ত হন শান্ত। একটু ভেতরে ঢোকা বলে সামনে পা অনেক বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাট-প্যাডের মধ্যে ফাঁক রয়ে যায় বেশ। সেখান দিয়েই ভেতরে ঢুকে বল আঘাত করে স্টাম্পে। কয়েকবার ডিগবাজি খেয়ে স্টাম্প চলে যায় কিপারের কাছে।
এমন শট সমর্থন করছেন না ডমিঙ্গো। তবে প্রথম দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ কোচ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে যেমন খেলছেন, শান্ত এর চেয়ে অনেক ভালো ব্যাটসম্যান।
“শান্ত যে শটটি খেলেছে, অবশ্যই তার সেরা শট নয়। সে এর চেয়ে আরও অনেক গোছানো ব্যাটসম্যান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও কিছু শেখার বাকি আছে তার। সেই সামর্থ্যের সবটুকু তার আছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের জন্য দুর্দান্ত এক ক্রিকেটার হয়ে উঠবে সে।”
গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর ১৪ ইনিংসে শান্তর ফিফটি কেবল একটি। সবশেষ তিন ইনিংসে আউট হলেন এক অঙ্কে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে ৩১ ইনিংসে ২৭.৫৩ গড়ে তার রান ৮২৬। দুটি সেঞ্চুরির পাশে দুটি ফিফটি।
তার প্রসঙ্গে বলতে এসে লিটন দাসের শুরুর ভোগান্তির প্রসঙ্গ টানলেন ডমিঙ্গো।
“লোকের মনে রাখা উচিত, লিটনও প্রথম ১৬-১৭ টেস্টে কেবল একটি ফিফটি করেছিল অনেক প্রশ্ন উঠেছিল তখন। তারও অনেক সামর্থ্য ছিল, কিন্তু গড় ছিল ২০-২২। এখন তার গড় ৩৬-৩৭।”
প্রথম ১৮ টেস্টে লিটনের ফিফটি ছিল কেবল চারটি। কঠিন সময়ে পেরিয়ে এখন দারুণ গতিতে ছুটছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। মিরপুর টেস্টে সোমবার কঠিন সময়ে নেমে খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১৩৫ রানের ইনিংস। সবশেষ আট টেস্টে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি।
বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটের পর সব ধাপ পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন শান্ত। অনেকটা তৈরি হয়ে এলেও এখনও সেভাবে নিজের ছাপ রাখতে পারেননি তিনি। ডমিঙ্গোর বিশ্বাস, শান্তর আরেকটু সময় প্রয়োজন।
“শান্ত এখনও শিখছে। টপ অর্ডারে ব্যাটিং করা কখনোই সহজ নয়। চাপের মধ্যে নতুন বলের সামনে ব্যাটিং করতে হয়। সে নিজেই সবার আগে স্বীকার করবে, এটা তার সেরা শট ছিল না। তবে আমি জানি, সে কোয়ালিটি ক্রিকেটার। আমি দেখেছি সে কীভাবে অনুশীলন করে, কীভাবে খেলে, জানি তার সামর্থ্য কতটা। ব্যাপারটা স্রেফ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পায়ের নিচে জমিন খুঁজে পাওয়ার।”