দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১১৬.২ ওভারে ৩৬৫ শ্রীলঙ্কা: ৪৩.১ ওভারে ১৩৯/২ |
সাকিবের শিকার মেন্ডিস
দ্বিতীয় স্পেলে বল
হাতে নিয়েই
দলকে সাফল্য
এনে দিলেন
সাকিব আল
হাসান।
প্রথম বলেই
কুসল মেন্ডিসকে
এলবিডব্লিউ করে দিলেন বাঁহাতি এই
স্পিনার।
সোজা বলের লাইন
মিস করে
ব্যাটে খেলতে
পারেননি মেন্ডিস। বল আঘাত হানে প্যাডের। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন
আম্পায়ার।
রিভিউ নেওয়ার
কোনো ইচ্ছাই
দেখাননি মেন্ডিস। হাঁটা ধরেন সাজঘরের দিকে।
থিতু হয়ে গিয়েছিলেন
তিনি।
৪৯ বলে
করেন ১১
রান।
দিমুথ করুনারত্নের
সঙ্গে তার
জুটি ১০৬
বলে ৪৪
রানের।
উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান
নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা কাসুন রাজিথা।
প্রথম রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
উইকেটের খোঁজে মরিয়া বাংলাদেশ হারাল তাদের প্রথম
রিভিউ। দিমুথ করুনারত্নের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে সফল হলো না স্বাগতিকরা।
তাইজুল ইসলামের অফ স্টাম্পে পড়া বল হাঁটু
গেড়ে লেগ সাইডে
খেলেন লঙ্কান অধিনায়ক। হালকা সুইং করে ভেতরে
ঢোকা বল আঘাত
হানে প্যাডে। জোরাল আবেদন
করেন বোলারসহ বাকিরা।
বেশ আত্মবিশ্বাসীই মনে হয়েছে
তাইজুলকে। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়। বল যেত অফ স্টাম্পের পাশ দিয়ে। ৬৬ রানে
থাকা করুনারত্নে টিকে যান। রিভিউ হারায়
বাংলাদেশ।
অল্পের জন্য বাঁচলেন করুনারত্নে
ভাগ্য যেন আজ সহায় দিমুথ করুনারত্নের। এবার অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন তিনি ক্যাচ আউট হওয়া থেকে।
তাইজুল ইসলামের করা ৩৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি একটু এগিয়ে লেগ সাইডে খেলেন লঙ্কান অধিনায়ক। বল মাটিতে রাখতে পারেননি ব্যাটসম্যান। উড়ে যায় তা মিডউইকেটে মুমিনুল হক বরাবর।
কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুলের একটু সামনে পড়ে বল। তখন ৬৯ রানে খেলছিলেন করুনারত্নে।
জুটি গড়ছেন মেন্ডিস-করুনারত্নে
উদ্বোধনী জুটিতে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন ওশাদা ফার্নান্দো ও দিমুথ করুনারত্নে। ফিফটি করে ওশাদা ফিরলেও এগিয়ে যাচ্ছেন লঙ্কান অধিনায়ক। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন কুসল মেন্ডিস।
দ্বিতীয় উইকেটে দুইজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৬১ বলে ২৮ রানের। ৫ চারে ৫৭ রানে খেলছেন করুনারত্নে। সাবধানী ব্যাটিং করা কুসলের রান ২৬ বলে ৬।
৩৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার রান ১ উইকেট হারিয়ে ১২৩। বাংলাদেশ থেকে তারা পিছিয়ে ২৪২ রানে।
তৃতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টায় খেলা হয়েছে ১৪ ওভার। এই সময় রান এসেছে ৩৯।
করুনারত্নের পঞ্চাশ
ইবাদত হোসেনের লেংথ বল পয়েন্টের দিকে ঠেলে সিঙ্গেল নিলেন দিমুথ করুনারত্নে। এই রানে পঞ্চাশে পা রাখলেন লঙ্কান অধিনায়ক, ৮৪ বলে।
টেস্ট ক্যারিয়ারে করুনারত্নের এটি ২৯তম ফিফটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে অর্ধশত করলেন তিনি চতুর্থবার।
শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনারই পেলেন পঞ্চাশের দেখা। ওশাদা ফার্নান্দো আউট হন ৫৭ রান করে।
ক্যাচ ছাড়লেন জয়
এক বল পরই বাংলাদেশ পেতে পারত আরেকটি উইকেট। কিন্তু শর্ট লেগে থাকা মাহমুদুল হাসান জয় মুঠোয় জমাতে পারলেন দিমুথ করুনারত্নের কঠিন ক্যাচ।
তাইজুল ইসলামের করা ২৭তম ওভারের প্রথম বলটি ছিল পায়ের ওপর ফুল লেংথ। লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় বল মাটিতে রাখতে পারেননি করুনারত্নে।
উড়ে আসা বল জয়ের হাতের উপরের দিকে লাগলে বেঁচে যান লঙ্কান অধিনায়ক। ৩৭ রানে খেলছিলেন তিনি সে সময়।
ওশাদাকে ফেরালেন ইবাদত
দিমুথ করুনারত্নেকে ফেরানোর যে সুযোগ হাতছাড়া করার হতাশাকে বেশিক্ষণ দীর্ঘ হতে দেননি ইবাদত হোসেন। দুই বল পরই তিনি ফিরিয়ে দেন ফিফটি করা ওশাদা ফার্নান্দোকে।
ওভারের পঞ্চম বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে, লেংথে। শরীর থেকে দূরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে তাড়া করেন ওশাদা। তার ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় প্রথম স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে।
৮ চার ও এক ছক্কায় ৯১ বলে ৫৭ রান করে বিদায় নেন আগে তিনবার বেঁচে যাওয়া ওশাদা। ভাঙে ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।
করুনারত্নের সঙ্গী উইকেটে কুসল মেন্ডিস।
সুযোগ হাতছাড়া
রিভিউ নিলেই মিলত সাফল্য। কিন্তু বাংলাদেশ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারল না। রিভিউ না নেওয়ায় বেঁচে গেলেন দিমুথ করুনারত্নে।
ইবাদত হোসেনের
লেগ স্টাম্পে পড়া ফুল লেংথ বল খেলার চেষ্টায় ব্যাটে খেলতে পারেননি লঙ্কান অধিনায়ক। বল প্যাডে লাগলে আবেদন করেন ফিল্ডাররা। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার জো উইলসন।
আলোচনা করে রিভিউ নেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। হয়তো লেগ স্টাম্পের বাইরে বল পিচ করেছে এমনটা ভেবেছিলেন সবাই। পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, রিভিউ নিলেই আউট হতেন ৩৬ রানে থাকা করুনারত্নে।
শ্রীলঙ্কার দারুণ সেশন
লাঞ্চ বিরতির পরপরই বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় সেশন নিজেদের করে নিয়েছে। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো ও দিমুথ করুনারত্নে।
চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় শ্রীলঙ্কার রান কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৪। ফিফটি ছুঁয়ে খেলছেন ওশাদা। ৭ চার ও এক ছক্কায় তার রান ৮৩ বলে ৫২। করুনারত্নের রান ৪টি চারে ৪৯ বলে ৩১।
দুই দল মিলিয়ে দ্বিতীয় সেশনে খেলা হয়েছে মোট ২৫.২ ওভার। এই সময় রান হয়েছে ৮৮। আর পড়েছে বাংলাদেশের শেষ উইকেট।
এই সেশনে তিনবার বেঁচে যান ওশাদা। আম্পায়ার কট বিহাইন্ড দিলে রিভিউ নিয়ে টিকে যান। পরে তাইজুল ইসলামের বলে আম্পায়ার্স কলে অল্পের জন্য বাঁচেন এলবিডব্লিউ হতে হতে। আর ৪৩ রানে থাকার সময় তার কঠিন ফিরতি ক্যাচ ধরতে পারেননি সাকিব।
ছক্কায় ওশাদার ফিফটি
সাকিব আল হাসানের আগের ওভারেই ডাউন দা উইকেটে এসে খেলার চেষ্টায় জীবন পান ওশাদা ফার্নান্দো। বাঁহাতি এই স্পিনারকে এবার আর কোনো সুযোগ দেননি তিনি। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ওড়ান ছক্কায়। তাতে পৌঁছে যান তিনি ফিফটিতে, ৭৪ বলে।
ক্যারিয়ারে ওশাদার এটি পঞ্চম পঞ্চাশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে করলেন দ্বিতীয়বার।
ইনিংসে ওই একটি ছক্কার সঙ্গে ৭টি চার মেরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
উইকেটে তার সঙ্গী দিমুথ করুনারত্নে খেলছেন ৪ চারে ৪৩ বলে ২৯ রানে।
সুযোগ হারাল বাংলাদেশ, ক্যাচ ছাড়লেন সাকিব
উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে সাকিব আল হাসানকে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন ওশাদা ফার্নান্দো। কিন্তু ব্যাটে ঠিকমতো খেলতে পারেননি তিনি। বল সরাসরি যায় বোলারের কাছে।
কিন্তু অনেক জোরে আসা বল মুঠোয় জমাতে পারেননি সাকিব। উল্টো কিছুটা ব্যথা পান আঙুলে।
তখন ৪৩ রান খেলছিলেন ওশাদা।
আম্পায়ার্স কলে বেঁচে গেলেন ওশাদা
নিজেদের দ্বিতীয় ওভারে দলকে সাফল্য প্রায় এনেই দিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। জমে যাওয়া উদ্বোধনী জুটি ভাঙাতে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে বেঁচে গেলেন ওশাদা ফার্নান্দো।
১৫তম ওভারের চতুর্থ বলটি মিডল স্টাম্পে করেন তাইজুল। হালকা টার্ন করে বল আঘাত হাতে ব্যাটসম্যানের পেছনের পায়ে। জোরাল আবেদন করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।
আম্পায়ারের সাড়া না পাওয়ায় রিভিউ নেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ব্যাটে স্পর্শ করেনি। তবে বল লাগতো অফ স্টাম্পের বাইরের অংশে। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় টিকে যান ওশাদা। রিভিউ হারাতে হয়নি বাংলাদেশকে।
উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ
ব্যাট হাতে দলকে দারুণ শুরু এনে দিলেন দিমুথ করুনারত্নে ও ওশাদা ফার্নান্দো। তাদের উদ্বোধনী জুটি এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে পঞ্চাশ।
দ্রুত রানই আসছে লঙ্কান দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে। চারটি চারে ৩০ বলে ২৪ রানে খেলছেন করুনারত্নে। আর ৫ চারে ৫২ বলে ওশাদার রান ৩৫।
১৪ ওভার শেষে দুইজনের জুটি ৮৪ বলে ৬০ রানের।
দুই প্রান্তেই আক্রমণে স্পিন
সাত ওভার শেষ হতেই বোলিংয়ে পরিবর্তন আনলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। অষ্টম ওভারে বল তুলে দিলেন বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসানের হাতে। ওভারটি মেডেন দেন অভিজ্ঞ স্পিনার।
পরের ওভারে আক্রমণে আনা হয় মোসাদ্দেক হোসেনকে। তাকে পেয়ে দুই চার মেরে দেন দিমুথ করুনারত্নে। ২০১৯ সালের পর টেস্ট খেলতে নেমে ব্যাট হাতে শূন্য রানে ফেরা মোসাদ্দেকের বোলিংয়ের শুরুটাও ভালো হলো না।
দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন ওশাদা ফার্নান্দো ও করুনারত্নে। ৯ ওভার শেষে রান বিনা উইকেটে ৩৭। করুনারত্নের রান ৩ চারে ১৩, ওশাদার ৪ চারে ২৩।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন ওশাদা
প্রথম ওভারে উইকেট প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল বাংলাদেশ। আঙুলও তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু ওশাদা ফার্নান্দো রিভিউ নিয়ে ভেস্তে দিল স্বাগতিকদের আনন্দ।
ওভারের শেষ বলটি ওশাদার পায়ের ওপর করেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ব্যাট চালালেও ঠিকমতো খেলতে পারেননি তিনি। ব্যাট ঘেঁষে বল জমা পড়ে কিপার লিটন দাসের গ্লাভসে। একটি শব্দও শোনা যায়। জোরাল আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার।
সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন ওশাদা। রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাট পেরিয়ে বল প্যাডে স্পর্শ করে গিয়েছে। বেঁচে যান আগের বলেই চার মেরে রানের খাতা খোলা ওশাদা।
৩৬৫ রানে শেষ বাংলাদেশ
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া দলকে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় পথে ফেরাতে বড় অবদান রাখলেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করে শেষ পর্যন্ত ছিলেন অপরাজিত। তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া লিটন কুমার দাস খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তাদের দুইজনের রেকর্ড জুটিতে সাড়ে তিনশ ছাড়িয়ে থামল বাংলাদেশ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ৩৬৫ রানে।
দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ইবাদত হোসেন রানআউট হলে শেষ হয় স্বাগতিকদের লড়াই। কাসুন রাজিথার করা ১১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি লেগ সাইডে খেলে দুই রান নেওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। দ্বিতীয় রানটি নিতে গিয়ে আউট হন ইবাদত।
ভাঙে ৫৬ বল স্থায়ী ১৬ রানের জুটি। ২০ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি ইবাদত। মুশফিক মাঠ ছাড়েন ১৭৫ রান নিয়ে। তার ৩৫৫ বলের ইনিংসটি সাজানো ২১ চারে।
লিটনের খেলেন ১৪১ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। তার ২৪৬ বলের ইনিংসে এক ছক্কার পাশে চার ১৬টি।
তাদের দুইজনের জুটি ২৭২ রানের। টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটে দুইশ রানের জুটি এই প্রথমবার দেখল বাংলাদেশ।
তাদের লড়াইয়েই মূলত ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ গড়তে পারল বড় পুঁজি।
ইবাদতের রানআউট বাদে বাকি ৯ উইকেটই নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার পেসাররা। দুর্দান্ত বোলিং উপহার দিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথম পাঁচ উইকেট নেন রাজিথা, ৬৪ রান দিয়ে। আসিথা ফার্নান্দোর প্রাপ্তি ৯৩ রান দিয়ে চারটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১১১.২ ওভারে ৩৬৫ (মুশফিক ১৭৫*, লিটন ১৪১, মোসাদ্দেক ০, তাইজুল ১৫, খালেদ ০, ইবাদত ০; রাজিথা ২৮.২-৭-৬৪-৫, আসিথা ২৬-৩-৯৩-৪, জয়াবিক্রমা ৩৮-৯-১০৮-০, রমেশ ১৪-০-৫৩-০, ধনাঞ্জয়া ৬-০-২৭-০, করুনারত্নে ৪-১-৮-০)
শ্রীলঙ্কার ব্যর্থ রিভিউ
শেষ জুটি ভাঙার চেষ্টায় রিভিউ হারাল শ্রীলঙ্কা। মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে রিভিউ নিয়ে সফল হলো না তারা।
১১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি লেগ সাইডে করেন কাসুন রাজিথা। ফ্লিক করার চেষ্টা করেন মুশফিক। তার ব্যাট ঘেঁষে বল যায় কিপারের গ্লাভসে। একটি শব্দও অবশ্য শোনা যায়। ক্যাচের আবেদনে আঙুল তোলেননি আম্পায়ার।
শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাটে নয় প্যাড ছুঁয়েছে বল। দ্বিতীয় রিভিউ হারায় সফরকারীরা।
তখন ১৭২ রানে খেলছিলেন মুশফিক।
শেষ উইকেটে ইবাদত-মুশফিকের লড়াই
শুরুটা সাবধানী হলেও শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন সুখকর হয়নি বাংলাদেশের। এই সময় ৪ উইকেট হারিয়ে ইনিংস শেষের দুয়ারে দাঁড়িয়ে স্বাগতিকরা। শেষ ব্যাটসম্যান ইবাদত হোসেনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম।
লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬১। মুশফিক খেলছেন ১৭১ রানে। তাকে সঙ্গ দেওয়া ইবাদত ১৬ বল খেলে এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৮ ওভার। এই সময়ে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ রান তুলতে পেরেছে ৮৪।
শেষ জুটি উইকেটে থাকায় আধা ঘণ্টা বেশি খেলা হয় এই সেশনে। কিন্তু মুশফিক-ইবাদতের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৩৬ বল স্থায়ী অবিচ্ছিন্ন এই জুটি ১২ রানের।
দিনের প্রথম আধা ঘণ্টা দেখে শুনেই কাটিয়ে দেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস ও মুশফিক। কিন্তু কাসুন রাজিথার এক ওভারে পাল্টে যায় গতিপথ। চার বলের মধ্যে লিটন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেন এই পেসার।
তাইজুল ইসলামকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মুশফিক। তাদের জুটি ভাঙে দেন আসিথা ফার্নান্দো। তার শিকার সৈয়দ খালেদ আহমেদও।
প্রথম দিনের মতো এদিনও দারুণ বোলিং করছেন লঙ্কান এই দুই আসিথা ও রাজিথা। বাংলাদেশের নয়টি উইকেটই নিয়েছেন তারা ভাগ করে। ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন রাজিথা। ৪ উইকেট প্রাপ্তি আসিথার।
অল্পের জন্য রানআউট হলেন না ইবাদত
১০৯তম ওভারের শেষ বলটি লেগ সাইডে করেন কাসুন রাজিথা। বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি কিপার। এই সুযোগে দুই রান নেওয়ার চেষ্টা চালান মুশফিকুর রহিম ও ইবাদত হোসেন।
দ্বিতীয় রানের সময় অল্পের জন্য রানআউট হতে বেঁচে যান ইবাদত। ফাইন লেগ থেকে করা থ্রো হাতে জমাতে পারেননি স্টাম্পের গোঁড়ায় থাকা লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। তার হাতের সামনে থেকে বল লাফিয়ে ওঠে।
ঝাঁপিয়ে পড়ে দাগের ভেতরে ঢোকেন ইবাদত। স্টাম্পে বল লাগলে তার এই প্রচেষ্টা ব্যর্থই হতো।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন ইবাদত
মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই ফিরতে পারতেন ইবাদত হোসেন। আঙুলও তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান রানের খাতা খুলতে না পারা ইবাদত।
আসিথা ফার্নান্দোর বাউন্সার তার ব্যাট ঘেঁষে যায় কিপারের হাতে। শ্রীলঙ্কার আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন ইবাদত।
রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্পর্শ করেনি ব্যাট। টিকে গিয়ে আসিথার আরও চার বল কাটিয়ে দিয়ে কোনোমতে ওভারটি শেষ করেন ইবাদত।
শূন্যতে শেষ খালেদ
তাইজুল ইসলামকে ফেরানোর পরের ওভারে এসেই সৈয়দ খালেদ আহমেদের শিকার ধরলেন আসিথা ফার্নান্দো। রানের খাতা খুলতে পারলেন না বাংলাদেশের দশ নম্বর ব্যাটসম্যান।
আসিথার বাউন্সারে খালেদের ব্যাটের কানা নিয়ে জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে।
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে উইকেটে আছেন ইবাদত হোসেন।
বাউন্সারে ফিরলেন তাইজুল
চট্টগ্রাম টেস্টের মতো মিরপুরেও বাউন্সারে ফিরলেন তাইজুল ইসলাম। এবারও বোলার সেই আসিথা ফার্নান্দো।
১০৬তম ওভারের পঞ্চম বলটি শরীর তাক করে শর্ট করেন আসিথা। খেলবেন না ছেড়ে দেবেন দ্বিধায় ছিলেন তাইজুল। শেষ মুহূর্তে তার গ্লাভস ছুঁয়ে বল জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে।
প্রথম টেস্টে অবশ্য একই ধরনের বলে শট খেলেন তাইজুল। ব্যাটে-বলে ঠিকমতো করতে না পেরে ধরা পড়েন ফাইন লেগে।
এদিন মুশফিকুর রহিমকে ভালোই সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন তাইজুল। ৩৭ বলে ২ চারে ১৫ রান করা এই ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ভাঙে ৪৯ রানের জুটি।
উইকেটে মুশফিকের সঙ্গী সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
মুশফিকের ১৫০
দ্রুত ২ উইকেট হারানোর চাপ ভার করছে না মুশফিকুর রহিমকে। উল্টো রান তোলার গতি বাড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। পৌঁছে গেলেন তিনি ১৫০ রানে, ২৯১ বলে।
টেস্ট ক্যারিয়ারে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের পঞ্চম দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেললেন দ্বিতীয়বার।
দেড়শ ছাড়ানো আগের চার ইনিংসের তিনটিতেই দুইশ ছুঁয়েছিলেন মুশফিক।
প্রথম দিন যখন ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দল, দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে লিটন কুমার দাসকে নিয়ে গড়েন দৃঢ় প্রতিরোধ। দুইজনেই সেঞ্চুরি করে এগিয়ে নেন দলকে, গড়েন রেকর্ড জুটি।
লিটন ফিরে গেলেও মুশফিক দলকে টানছেন এখনও। খেলছেন ২৯৩ বলে ১৫২ রানে। তার সঙ্গী তাইজুল ইসলামের রান ৮।
বাংলাদেশের তিনশ
আসিথা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন মুশফিকুর রহিম। তাতে দলীয় তিনশ রানে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ।
৯৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৩। মুশফিক খেলছেন ১৩১ রানে, তাইজুল ইসলামের রান ২।
ওভারটির পরই পানি-পানের বিরতিতে যায় দুই দল। প্রথম ঘণ্টায় ১২ ওভার খেলে ২ উইকেট হারিয়ে ২৬ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিনের শুরুটা খারাপ ছিল না স্বাগতিকদের। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান দেখেশুনে খেলে কাটিয়ে দেন প্রথম আধা ঘণ্টা।
কিন্তু একটু পরই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে খেলায় ফেরান কাসুন রাজিথা।
চার বলের মধ্যে এই পেসার ফিরিয়ে দেন ১৪১ রান করা লিটন কুমার দাস ও রানের খাতা খুলতে না পারা মোসাদ্দেক হোসেনকে।
রাজিথার পাঁচ উইকেট
প্রথম টেস্টে বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন সাব হিসেবে খেলে বল হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন কাসুন রাজিথা। সেই পারফরম্যান্সে মিরপুর টেস্টে জায়গা করে নেন শুরুর একাদশেই।
চট্টগ্রামে এক ইনিংসে বোলিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৬০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার। ১০ টেস্টের ক্যারিয়ারে যা ছিল তার সেরা বোলিং।
একাদশ টেস্ট এসে রাজিথা ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকে। প্রথম দিন নিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হোক ও সাকিব আল হাসানের উইকেট।
এবার চার বলের মধ্যে লিটন দাস ও মোসাদ্দেক হোসেনকে বিদায় করে ক্যারিয়ারে প্রথমবার পেলেন পাঁচ উইকেটের স্বাদ।
এক ওভারেই ফিরলেন লিটন-মোসাদ্দেক
বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাসের জুটি। কিন্তু ওভারে জোড়া শিকার ধরে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দিলেন কাসুন রাজিথা। চার বলের মধ্যে এই পেসার ফিরিয়ে দিলেন লিটন ও মোসাদ্দেক হোসেনকে।
দেখেশুনে প্রথম আধঘণ্টা সাবধানী ব্যাটিংয়ে কাটিয়ে দিলেও নিজের ইনিংস বেশিদূর টেনে নিতে পারলেন না লিটন। দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন এই কিপার ব্যাটসম্যান।
৯৩ ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের ওপর লেংথে করেন রাজিথা। হালকা ভেতরে ঢোকা বল লিটনের ব্যাটের বাইরের কানা নিয়ে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। নিচু ক্যাচ দারুণ দক্ষতায় মুঠোয় জমান কুসল মেন্ডিস।
ক্যারিয়ার সেরা ১৪১ রান করা লিটনের বিদায় ভাঙল ৫১৩ বল স্থায়ী ২৭২ রানের রেকর্ড জুটি। ২৪৬ বল খেলা কিপার-ব্যাটসম্যান লিটনের ইনিংসটি সাজানো ১৬ চার ও এক ছক্কায়।
তিন বছর পর টেস্ট দল ফেরা মোসাদ্দেক ফিরে গেলেন দুই বল পরই। সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বল খোঁচা দিয়ে শূন্য রানে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়লেন তিনি।
এই সাফল্যের সঙ্গে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেলেন রাজিথা।
উইকেটে মুশফিকের সঙ্গী তাইজুল ইসলাম।
শুরুতে সাবধানী মুশফিক-লিটন
কোচের চাওয়া মতোই দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিম। সাবধানী ব্যাটিংয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন শুরুর কঠিন চ্যালেঞ্জ।
আগের দিনের প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশকে বেশ ভোগানো শ্রীলঙ্কান দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দো এদিনও করছেন দারুণ বোলিং। তাদেরকে দেখেশুনে খেলেই মুশফিক-লিটন পার করছেন চ্যালেঞ্জিং সময়।
প্রথম আধ ঘণ্টায় চোখে পড়েছে অসমান বাউন্স। দুয়েকটা বল বেশ লাফিয়েছে, কয়েকটা বল হুট করে নিচু হয়ে হয়ে গেছে।
৯১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯৫। লিটন খেলছেন ১৪০ রানে, মুশফিকের রান ১২৬।
মাহমুদউল্লাহকে ছাড়িয়ে লিটন
চার বছর আগে মাহমুদউল্লাহর গড়া রেকর্ড নিজের করে নিলেন লিটন দাস। সাত নম্বরে নেমে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এখন এই কিপার-ব্যাটসম্যানের।
দলের বিপর্যয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নিজেকে মেলে ধরা লিটন খেলছেন ১৩৭ রানে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ করেছিলেন ১৩৬ রান।
বাংলাদেশের হয়ে সাতে নেমে সেঞ্চুরি আছে আর কেবল দুইজনের। ২০১০ সালে মুশফিকুর রহিম ভারতের বিপক্ষে করেন ১০১ রান। তিন বছর পর লঙ্কানদের বিপক্ষে নাসির হোসেন খেলেন ঠিক ১০০ রানে ইনিংস।
মাঠে ফিরেছেন কুসল মেন্ডিস
বুকের ব্যথা নিয়ে প্রথম দিন লাঞ্চের আগে মাঠ ছাড়া কুসল মেন্ডিস দ্বিতীয় দিনের সকালেই মাঠে ফিরেছেন। লঙ্কান এই ক্রিকেটার দ্বিতীয় স্লিপে ফিল্ডিংয়ে দাঁড়িয়েছেন।
আগের দিন ২৩তম ওভারে হুট করে বসে পড়েন কুসল মেন্ডিস। দৌড়ে আসেন শ্রীলঙ্কা দলের ফিজিও। পরে পরীক্ষার জন্য সরাসরি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকদের কক্ষে। প্রায় পুরোটা সময় এক হাতে বুক চেপে ধরেছিলেন কুসল মেন্ডিস।
পরে অধিকতর পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। কুসল মেন্ডিসের জায়গায় ফিল্ডিং করেন কামিন্দু মেন্ডিস।
দিনের খেলা শেষে শ্রীলঙ্কা কোচ ক্রিস সিলভারউড বলেন, সতর্কতার অংশ হিসেবে হাসপাতালে রাখা হয়েছে কুসলকে।
প্রথম ঘণ্টায় চোখ বাংলাদেশের
মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন প্রথম ঘণ্টায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাংলাদেশ দল। স্রেফ ৭ ওভারের মধ্যে হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাসের চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে স্বস্তিতে দিন শেষ করে তারা। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে এমন কোনো ধস চায় না দল।
প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর চাওয়া, মঙ্গলবার প্রথম ঘন্টার কঠিন চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান লিটন ও মুশফিক।
৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে মুমিনুল হকের দল।
২৫২ বলে ১৩ চারে ১১৫ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে লিটন খেলছেন ২২১ বলে ১৬ চার ও এক ছক্কায় ১৩৫ রানে।
দুইজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৪৬৯ বলে রেকর্ড ২৫৩ রানের। ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে দুইশ ছাড়ানো জুটি এটাই প্রথম।
দুঃস্বপ্নের শুরুর পর স্বপ্নের মতো দিন পার করা বাংলাদেশকে দ্বিতীয় দিন দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা। তাই থিতু দুই ব্যাটসম্যান লিটন-মুশফিককে কঠিন সময় কাটিয়ে শক্ত ভিত গড়ে দিতে বললেন ডমিঙ্গো।
প্রথম দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮৫ ওভারে ২৭৭/৫ (মুশফিক ১১৫*, লিটন ১৩৫*; রাজিথা ১৯-৫-৪৩-৩, আসিথা ১৭-২-৮০-২, জয়াবিক্রমা ২৯-৯-৮১-০, রমেশ ১২-০-৪১-০, ধনাঞ্জয়া ৪-০-১৫-০, করুনারত্নে ৪-১-৮-০)।