তুরস্ক,
আরব আমিরাত ও কাতারের সঙ্গে কয়েক মাসের আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার
টুইটারে জানিয়েছেন মোল্লা আবদুল গণি বারাদার।
পরে
কাবুলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তার প্রশাসন আরব আমিরাতের সঙ্গে নতুন করে বিমানবন্দরের
গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং চুক্তি করতে যাচ্ছে।
এতে
বিদ্যমান চুক্তির বাইরে কিছু থাকছে কিনা কিংবা বিমানবন্দরের নিরাপত্তাও যুক্ত হচ্ছে
কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্র
নেতৃত্বাধীন নেটো বাহিনীর বিরুদ্ধে দুই দশক যুদ্ধ চালানো তালেবানের কাছে বিমানবন্দরের
নিরাপত্তা ইস্যুটি খুবই সংবেদনশীল; আফগানিস্তানে বিদেশি বাহিনীর প্রত্যাবর্তন চায় না
বলেও বারবারই জানিয়েছে তারা।
আফগানিস্তানের
বিমানবন্দর চালাতে তালেবানের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তি বিষয়ে রয়টার্স আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি তারা।
চুক্তির
আলোচনা সম্বন্ধে অবগত একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, কাতারের সঙ্গে তালেবানের আলোচনায়
যে শর্তটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেটি হচ্ছে দোহা আফগান বিমানবন্দরে কাতারি নিরাপত্তা
রক্ষীদের রাখতে চেয়েছিল।
বিদেশি
সেনারা সরে যাওয়ায় গত বছরের অগাস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার পর বিমানবন্দর
পরিচালনা ও নিরাপত্তায় সহায়তা করতে আগেও অস্থায়ী কারিগর দল পাঠিয়েছিল কাতার ও তুরস্ক।
কট্টরপন্থি
ইসলামি গোষ্ঠী তালেবান আন্তর্জাতিক মহল থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন এবং কোনো দেশই এখন পর্যন্ত
আফগানিস্তানে তাদের সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারে কিছু দেশ
যে কতটা মরিয়া বিমানবন্দরের ভার নেওয়ার আলোচনাই তা দেখাচ্ছে।
তালেবানের
ওপর কাতারের যে কূটনৈতিক প্রভাব, আমিরাতও তার পাল্টা প্রভাব দাঁড় করাতে চায় বলে বিমানবন্দর
পরিচালনা নিয়ে আলোচনা শুরুর পর গত বছর রয়টার্সকে একাধিক সূত্র বলেছিল।
মধ্যপ্রাচ্য
ও আশপাশের অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গত কয়েক বছর ধরেই কাতার ও আরব
আমিরাতের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে।