ফাইল ছবি
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মাদকাসক্ত সন্তানকে বন্দি করাতে ওই দম্পতি তার কাছে এসেছিলেন।
“আমাকে একদিন কেরানীগঞ্জের, আমি নাম বলব না, তার বাবা-মা চলে আসছেন আমার কাছে। দুজনেরই অঝোর কান্না; বলছেন যে- আমার ছেলেকে আপনি আটক করেন।”
কেন তোমার ছেলেকে আটক করবো- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জিজ্ঞাসায় উত্তর আসে, “আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমার বাড়ি ঘরের সমস্ত জিনিস বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা তার বাবা-মা, আমাদেরকেও মারছে।”
আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, “আপনারা নিশ্চয়ই ঐশীর কথা ভুলে যাননি। মাদকাসক্ত হলে মানুষ কী করে? তাদের যে জ্ঞান- তা হারিয়ে ফেলে, সবকিছু হারিয়ে ফেলে। সেটার জন্য তাদের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন।”
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী তার মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
অনুষ্ঠানে দেশের ১৫টি বেসরকারি মাদক নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আসাদুজ্জামান কামাল।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ছাত্রদলের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ফের উত্তপ্ত হল কি না- এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা একটি স্বাধীন দেশ। এখানে বহুদলীয় রাজনীতি সুপ্রতিষ্ঠিত। এখানে রাজনীতির অঙ্গন সবসময়ই উন্মুক্ত।
“কিন্তু যারা আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, ভাঙচুর করে, জনগণের বিপক্ষে যেয়ে দাঁড়ায়, মানে যান চলাচল বন্ধ করে কিংবা মানুষের যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা করেন, মালপত্র বা জানমালকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেন, তখনই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে হস্তক্ষেপ করে।
কোনো দলের কোনো কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিচ্ছে না বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ছাত্রদলের উপর ছাত্রলীগ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে বলে বিএনপি মহাসচিব যে অভিযোগ তুলেছেন,তার প্রতিক্রিয়ায় আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, “এগুলো হল রাজনৈতিক কৌশল।
“অনেকেই অনেকভাবে এ ধরনের প্রচারণা করেন। আমি বলব- প্রচারণার জন্যই তারা এগুলো বলে থাকেন। এগুলোর মধ্যে সত্যতা নেই।”