ক্যাটাগরি

গোকুলামকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল কিংস

কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার গোকুলামকে ২-১ গোলে হারিয়েছে অস্কার ব্রুসনের দল। আই-লিগের দলটির হয়ে ব্যবধান কমান জর্ডেইন ফ্লেচার।

এই জয়ে নিজেদের করণীয়টুকু সেরে রাখল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপে শীর্ষে আছে তারা। দিনের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হবে মোহনবাগান ও মাজিয়া। ম্যাচটি ড্র হলে বা মোহনবাগান হারলে গ্রুপ পর্ব পেরুনোর টিকেট পাবে কিংস।

মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে গ্রুপ পর্ব শুরু করা কিংস নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে হেরে যায় ৪-০ ব্যবধানে।

মোহনবাগানের বিপক্ষে ৪-২ গোলের চমক জাগানো জয়ের পর মাজিয়ার কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল গোকুলাম। টানা দুই হারে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেল তারা।

পরের ধাপে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে শুরুর একাদশে তিন পরিবর্তন আনেন কিংস কোচ। কাজী তারিক রায়হান, মাশুক মিয়া জনি ও চিনেডু ম্যাথিউয়ের বদলে খেলেন মাহবুবুর রহমান সুফিল, বিপলু আহমেদ ও মারোং।

পঞ্চম মিনিটে কিংসের রক্ষণে কাঁপন ধরায় গোকুলাম। সতীর্থের থ্রু পাস ধরে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙ্গে বক্সে ঢুকলেও বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এমএস জিথিন।

পঞ্চদশ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া কিংসের সোহেল রানার জোরাল শট আটকান ডিফেন্ডার বোউবা আমিনৌ। ২৩ মিনিটে মিগেলে ফিগেইরা দামাশেনোর শট দুরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।

২৭তম মিনিটে গোলরক্ষক রাকশিত দাগারের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় গোকুলাম। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে রবিনিয়ো দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বুলেট গতির শট নেন, কোনোমতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল পাঠান রাকশিত।

৩৬তম মিনিটে কাঙিক্ষত গোল পায় কিংস। বাঁ দিক দিয়েই বক্সে ঢুকে পায়ের কারিকুরিতে বল বের করে একটু জায়গা করে নেন রবিনিয়ো। এরপর দারুণ বাঁকানো শটে দূরের পোস্টের উপরের কোণা দিয়ে খুঁজে নেন জাল।

চার মিনিট পর একইভাবে চেষ্টা করেছিলেন রবিনিয়ো, কিন্তু বল পোস্টের বাইরে গেলে হতাশায় মুখ ঢাকেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে।

প্রথমার্ধে ১৪ শটের দুটি লক্ষ্যে রেখে একটি গোল তুলে নিয়ে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় কিংস। অন্যদিকে, এ অর্ধে গোকুলামের দুই শটের একটিও ছিল না লক্ষ্যে।

দ্বিতীয়ার্ধেও বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে আধিপত্য করতে থাকে কিংস। রবিনিয়ো-মারোংয়ের দারুণ বোঝাপড়ায় ৫৪তম মিনিটে দ্বিগুণ হয় ব্যবধান। সতীর্থের ক্রসে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মারোং।

কিংসের রক্ষণে চিড় ধরে ৭৪তম মিনিটে। সতীর্থের পাস ধরে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা জেসিম বক্সে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান। ফাঁকায় থাকা জর্ডেইন ফ্লেচার প্রথম স্পর্শে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরাল শটে পরাস্ত করেন আনিসুর রহমান জিকোকে।

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের শুরুতে কিংসের ত্রাতা জিকো। ফ্লেচারের জোরাল ফ্রি কিক অনেকটা লাফিয়ে ওঠা জিকোর গ্লাভস ছুঁয়ে ক্রসবারে লাগে। শেষের বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে রবিনিয়োর নিচু শট গোলরক্ষক ফেরালে ব্যবধান বাড়েনি।