মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ধামরাই উপজেলার বারোবাড়ীয়ায় এই অভিযান চালানো হয় বলে র্যার-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আরিফ হোসেন জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন ধামরাইয়ের চরিপাড়া গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম (৩৭), দক্ষিণ হাতকোড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে মো. আল আমিন (৩০), কৃষ্ণপুরা গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলে পিন্টু (৩৬) এবং বারোবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুস সত্তারের ছেলে মো. আবু বকর সিদ্দিক (৩৫)।
লেফটেন্যান্ট আরিফ জানান, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার কৃষি প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউটের এক ছাত্রী (১৬) সোমবার সাভারে থেকে মোবাইল ফোন মেরামত করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধামরাইয়ের বারোবাড়ীয়া বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থেকে নামেন। পরে হেঁটে ভাড়া বাসায় রওয়ানা হন। এ সময় তার ইনিস্টিটিউটের আরেক ছাত্রের (১৯) সঙ্গে দেখা হলে তাকে এগিয়ে দিতে সঙ্গে যান।
“তখন পথে কয়েকজন যুবক তাদের গতিরোধ করে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে। ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদপত্রে প্রকাশ করার হুমকি দিতে থাকে।”
ওই শিক্ষার্থীদের বরাতে লেফটেন্যান্ট আরিফ আরও বলেন, এর মধ্যে ওই ছাত্রের বাবাকে ফোন দিয়ে তারা দেড় লাখ টাকা দাবি করে। এভাবে দুই শিক্ষার্থীকে সারারাত আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
“ভোরের দিকে ভুক্তভোগী ছাত্র মোবাইল ফোনে টাকা আনার কথা বলে কৌশলে র্যাব অফিসে ফোনে বিষয়টি জানান। পরে র্যাব ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ছাত্র-ছাত্রীকে উদ্ধার করে।”
গ্রেপ্তার যুবকদের কাছ থেকে তাদের ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন, একটি মোটরসাইকেল ও নগদ ৩২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় বলে এই র্যাব কর্মকর্তা জানান।
তাদের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেও জানান আরিফ হোসেন।