শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি মিরপুর টেস্টে দলের বিপর্যয়ে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করেছেন লিটন দাস। তার ক্যারিয়ার সেরা ১৪১ রানের ইনিংসটি সাত নম্বরে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ডও।
২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েন তিনি ২৭২ রানের জুটি। ২৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট পড়ার পর যা টেস্ট ইতিহাসের সেরা জুটি।
সিরিজের আগের টেস্টেই লিটন চট্টগ্রামে ছয়ে নেমে খেলেন ৮৮ রানের ইনিংস। শুধু এই দুই টেস্ট নয়, তার এই ধারাবাহিকতা চলছে গত বছরের শুরু থেকে। এই সময়টায় ১৩ টেস্টে ১ হাজার ১০০ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে ৫২.৩৮ গড়ে। সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি, ফিফটি ৮টি।
বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান এই সময়ে ৮০০ রানও করতে পারেননি। এমন ফর্মে থাকা একজন ব্যাটসম্যানের এভাবে নিয়মিত ছয়-সাতে ব্যাট করা উচিত কিনা, এই প্রশ্ন উঁকি দিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে, ব্যাটিং অর্ডারের ওপরের দিকে দুই-তিন জন ব্যাটসম্যান যেখানে ধুঁকছেন নিয়মিত।
টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটি সরাসরি করা হলো লিটনকেই। তার পাল্টা প্রশ্ন, “আমি যে এই বছর রান করলাম, কততে নেমে করেছি?”
গত বছরের শুরু থেকে সাফল্যময় এই পথচলায় ২১ ইনিংসের দুটি তিনি খেলেছেন পাঁচে। বাকি সবকটিই ছয়-সাতে। তবে এসব পজিশনে প্রায় তাকে অনেক সময়ই খেলতে হয় লোয়ার অর্ডারদের সঙ্গে। সময় নিয়ে ইনিংস গড়া ও লম্বা ইনিংস খেলার সুযোগ অনেক সময় থাকে না। দল দ্রুত ৪-৫ উইকেট হারালে অবশ্য আগেভাগে উকেটে যেতে পারেন, তবে তখন চাপও থাকে প্রবল।
লিটনের অবশ্য ওপরে ওঠার তাড়া নেই, বরং অপেক্ষা করছেন সময়ের।
“আস্তে আস্তে সুযোগ আসবে, সামনে যখন বড় ভাইরা কেউ খেলবে না, তখন আমাকে সুযোগ দেওয়া হবে। এখন আমি দেখছি না যে ওপরে যাওয়ার মতো (অবস্থা আছে)।”
তিন নম্বরে নাজমুল হোসেন শান্ত ধারাবাহিক হতে পারছেন না, চারে অধিনায়ক মুমিনুল হক তো একদমই ছন্দে নেই। এই টেস্টে ছয়ে ব্যাট করা সাকিব আল হাসানও ব্যাট হাতে নিজের সেরা চেহারায় নেই অনেক দিন ধরে। লিটনকে ওপরে খেলানোর জায়গা তাই চাইলে করাই যায়। লিটনের মনেও কি তেমন ভাবনা খেলা করে একটু-আধটু?
তার ছোট্ট উত্তর, “ভালো আছি… যেখানে আছি, ভালো আছি।”