ক্যাটাগরি

রিতু মনি ১৩৬, লতা ১০৯, ইন্দিরা রোড ৭৩!

খেলাঘরের হয়ে সেঞ্চুরি উপহার দেন অধিনায়ক লতা মন্ডল ও রিতু মনি। ১০৬ বলে ১১ চারে ১০৯ রান করেন লতা। ১০৫ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস খেলেন রিতু মনি, যেখানে ১৭টি চারের পাশে ছক্কা দুটি।

দুই জনে চতুর্থ উইকেটে ২৩৩ রানের জুটি গড়েন ১৮৬ বলে। ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে খেলাঘর করে ৩৫৪ রান। ইন্দিরা রোড ৭ উইকেট হারিয়ে করতে পারে স্রেফ ৭৩ রান। খেলাঘরের জয় ২৮১ রানে।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে খেলাঘরের শুরুটা যদিও ভালো ছিল না। ২৫ রানের মধ্যে বিদায় নেন ফাল্গুনি বন্যা ও সাবাকুন নাহার।

মিষ্টি রানি আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ফিফটি। এরপরই বিদায় নেন তিনি ৫৫ বলে ৯ চারে ৫৭ রান করে। সপ্তদশ ওভারে খেলাঘরের রান তখন ৩ উইকেটে ৯৬।

এরপরই লতা ও রিতু মনির ওই জুটি। লতা ফিফটি পূর্ণ করেন ৬১ বলে। ৯৪ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। ৪৪ বলে পঞ্চাশে পা রাখা রিতু মনি সেঞ্চুরি করেন ৮৮ বলে।

পারভিন আক্তারের বলে লতা বোল্ড হলে ভাঙে জুটি। একই ওভারে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন রিতু মনি। সুলতানা ৭ বলে ১৩ ও স্বর্ণা আক্তার ৮ বলে ১২ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলের স্কোর সাড়ে তিনশ পার করেন।

ইন্দিরা রোডের হয়ে পঞ্চাশের বেশি রান দেন চার জন। ৬৭ রানে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন পারভিন।

বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলটির ব্যাটারদের মাঝে ছিল না রান করার তাড়না। একাদশ ওভারে ১২ রানে তারা হারায় ৪ উইকেট, ২৮তম ওভারে ৩১ রানে ৫টি। শেষ পর্যন্ত যে তারা অল আউট হয়নি, এটিই তাদের জন্য স্বস্তির!

সুমায়া পারভিন সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন ৭২ বল খেলে। সাজিদা মিম ৭ রান করতে খেলেন ৯১ বল। ৬৬ বলে ১১ রান করেন কণা আক্তার।

খেলাঘরের ফাতেমা জাহান সোনিয়া ১০ ওভারে পাঁচ মেডেনে স্রেফ ১২ রান দিয়ে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।

ফুয়ারা আক্তারের ১০ ওভারের ৭টিই মেডেন। মাত্র ৬ রান দিয়ে তার প্রাপ্তি একটি। সুলতানা ১০ ওভারে ১৫ রানে নেন একটি উইকেট।

সেঞ্চুরির পর বল হাতে ৮ ওভারে ২০ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা রিতু মনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সংঘ: ৫০ ওভারে ৩৫৪/৫ (মিষ্টি ৫৭, ফাল্গুনি ২, সাবাকুন ০, লতা ১০৯, রিতু মনি ১৩৬, সুলতানা ১৩*, স্বর্ণা ১২*; জান্নাতুল ৩-০-২৫-০, পারভিন ৯-০-৬৭-২, সাদিয়া ৯-২-৭২-১, প্রজ্ঞা ১-০-১১-০, কণা ২-০-১২-০, হালিমাতুল ৯-০-৫৪-১, নুসরাত ১০-০-৫৭-০)

ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্র: ৫০ ওভারে ৭৩/৭ (হালিমাতুল ৮, মুন্নি ০, সুমায়া ১৮, নুসরাত ০, লিজা ১, সাজিদা ৭, কণা ১১, পারভিন ৮*, সাদিয়া ১*; ফাতেমা ১০-৫-১২-৩, ফুয়ারা ১০-৭-৬-১, সুলতানা ১০-৩-১৫-১, স্বর্ণা ৭-২-১০-১, মর্জিনা ৩-০-৬-০, রিতু মনি ৮-০-২০-১, লতা ২-০-৩-০)

ফল: খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সংঘ ২৮১ রানে জয়ী

প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: রিতু মনি

সিটি ক্লাব-রূপালী ব্যাংক

মুক্তা রবীন্দ্রর অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ও ফারজানা হকের ফিফটিতে সিটি ক্লাবকে সহজেই হারিয়েছে রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ।

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে দলটির জয় ৭ উইকেটে। সিটি ক্লাবের ১৬১ রান ৪৭ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় রূপালী ব্যাংক।

বল হাতে ১৬ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ৬৬ বলে অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা মুক্তা। ৮৯ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন ফারজানা। প্রথম ম্যাচেও তিনি করেছিলেন ফিফটি।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই আরএইচ ঝিলিককে হারায় সিটি ক্লাব। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়েন আচেনা জান্নাত ও সাদিয়া ইসলাম। এই জুটি ভাঙতেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং।

১ উইকেটে ৮১ থেকে দ্রুতই তাদের স্কোর হয়ে যায় ৬ উইকেটে ৮৫! সেখান থেকে কোনোমতে তারা ছাড়াতে পারে দেড়শ।

পারভিন খান সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ৫৮ বলে। সাদিয়া করেন ৩৫ রান।

মুক্তার তিনটি ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন পুজা চক্রবর্তী ও আশা রহমান সুখতারা।

রান তাড়ায় ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভিত গড়ে দেন সানজিদা ইসলাম (২৬) ও সুখতারা (১৫)। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ১৭ বল খেলে খুলতে পারেননি রানের খাতা। ৭০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বাকিটা সারেন ফারজানা ও মুক্তা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিটি ক্লাব: ৫০ ওভারে ১৬১/৮ (ঝিলিক ৮, জান্নাত ২৭, সাদিয়া ৩৫, পারভিন ৩৯*, লেকি ১, ফাতেমা ১, সুরাইয়া ০, মুর্শিদা ১০, শিবানি ২০, কাকলি ৩*; পুজা ৮-১-২৬-২, রুপা ৮-২-৩০-০, নাহিদা ১০-২-১৪-০, মুমতা হেনা ৯.৫-১-৩৯-১, লাকি ২-০-১২-০, শরিফা ২-০-৭-০, মুক্তা ৫-১-১৬-৩, সুখতারা ৫-০-১৫-২, সানজিদা ০.১-০-১-০)

রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ: ৪২.১ ওভারে ১৬২/৩ (সানজিদা ২৬, সুখতারা ১৫, ফারজানা ৫৩*, নিগার ০, মুক্তা ৫২*; সুরাইয়া ৬-০-২১-০, কোহিনূর ৫-০-১৫-০, পারভিন ৯-০-৫২-০, ফাতেমা ১০-৫-২৩-২, কাকলি ১০-১-৩৮-১, মুর্শিদা ২.১-০-১২-০)

ফল: রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ ৭ উইকেটে জয়ী

প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: মুক্তা রবীন্দ্র