রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে আদালত তাকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
সাজাপ্রাপ্ত লাভলু মিয়া উপজেলার শংকরপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় লাভলু আদালতে ছিলেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই রাতে শংকরপুর মধ্যপাড়া গ্রামে রেহেনা বেগম নামে এক নারীর ঘরে চুরি করতে ঢোকেন লাভলু। রেহেনার কানের দুল ছিনিয়ে নেন লাভলু। রেহেনা তাকে চিনতে পেরে তাকে সতর্ক করেন। সঙ্গে সঙ্গে পাথর দিয়ে রেহেনা বেগমের মাথায় আঘাত করেন লাভলু। এরপর লাশ বাড়ির কাছে বাঁশঝাড়ে ফেলে চলে যান।
পরে তার ছেলে খোরশেদ আলম মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর লাভলু হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পুলিশ তদন্ত শেষে লাভলুর নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০১৬ সালের ১৫ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
২১ জনের সাক্ষ্য নিয়ে জবানবন্দির ভিত্তিতে জেরা শেষে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা দিল।
সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি জয়নাল আবেদীন অরেঞ্জ।
তিনি বলেন, বাদীপক্ষ ন্যায্য বিচার পেয়েছে। তারা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী সুলতান আহাম্মেদ শাহিন ন্যায্যবিচার পাননি বলে দাবি করেন। রায়ের কপি হাতে পেলে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।