ডেমোক্র্যাট এ রাজনীতিবিদ সামনের দিনগুলোতে জলবায়ুকেই তার অগ্রাধিকারের শীর্ষে রাখার আশ্বাস দিয়েছেন, যা ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক নীতিকেই পাল্টে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
“এখানে নষ্ট করার মতো সময় নেই,” জলবায়ু নিয়ে শনিবার বাইডেন এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে বাইডেনের এ জলবায়ু ও জ্বালানি দলের নিয়োগ নিশ্চিত হলে ইতিহাস সৃষ্টি হবে। দলটিতে পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইপিএ) পরিচালনায় একজন কৃষ্ণাঙ্গ এবং মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে একজন আদিবাসী আমেরিকানকে রাখা হয়েছে।
২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাওয়া বাইডেন তার প্রশাসনে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিফলিত করার মতো বৈচিত্র থাকবে বলে আগেই আশ্বাস দিয়েছিলেন।
“আমরা সংকটের মধ্যে আছি। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় যেমন আমাদের সমন্বিত হওয়া দরকার, তেমনি দরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধেও সমন্বিত জাতীয় প্রতিক্রিয়া,” বলেছেন সাবেক এ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরা ও ‘যুক্তরাষ্ট্রকে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে নেতৃত্বের স্থানে ফিরিয়ে আনা’র প্রতিশ্রুতি দেওয়া বাইডেন অনেকদিন ধরেই ট্রাম্প প্রশাসনের জলবায়ু নীতি পাল্টে ফেলার আশ্বাস দিয়ে আসছেন।
ট্রাম্পের অধীনেই চলতি বছর প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের নাম তুলে নেয়।
বাইডেন তার জলবায়ু ও জ্বালানি দলের সদস্যরা ‘চৌকস, যোগ্য, পরীক্ষিত এবং বাধা টপকানোর দক্ষতাসম্পন্ন’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তার মনোনীতদের মধ্যে আছেন নর্থ ক্যারোলাইনার শীর্ষ পরিবেশ নিয়ন্ত্রক মাইকেল রেগান; সিনেটে নিয়োগ নিশ্চিত হলে তিনি হবেন ইপিএ’র প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান প্রধান।
বাইডেনের ঘোষিত দলে আছেন নিউ মেক্সিকো থেকে প্রতিনিধি পরিষদে আসা ডেব হাল্যান্ডও, পদে বসলে যিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইনটেরিয়র বিভাগকে নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম আদিবাসী আমেরিকান।
হাল্যান্ড তার মনোনয়নকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের এক ‘অসামান্য মুহুর্ত’বলে বর্ণনা করেছেন।
আইনজীবী ও ওবামা প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তা ব্রেন্ডা মেলোরিকে বাইডেন তার প্রশাসনের কাউন্সিল অন এনভায়রনমেন্টাল কোয়ালিটির নেতৃত্বের জন্য বেছে নিয়েছেন। নিয়োগ নিশ্চিত হলে এ পদে তিনিই হবেন প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান।
বাইডেন তার জ্বালানিমন্ত্রী হিসেবে মিশিগানের সাবেক গভর্নর জেনিফার গ্রানহোমকে মনোনীত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত এ প্রেসিডেন্ট গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অন্যতম স্থপতি জন কেরিকে তার জলবায়ু বিষয়ক দূত মনোনীত করেছেন।
সব ঠিক থাকলে কেরিই প্রথম জলবায়ু পরিবর্তনরোধের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে বসতে যাচ্ছেন।