বৃহস্পতিবার থেকেই একদিনে কোনো শেয়ারের
সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমার এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ
অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল
করিম।
বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির আতঙ্ক থামানোর মাধ্যমে সাম্প্রতিক পতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি
সিদ্ধান্তের খবরে টানা আট দিন পর সোমবার উত্থানে ফিরেছিল বাজার।
তবে তা একদিনও টেকেনি। আগের দিনের বড় উত্থানের পরদিন
মঙ্গলবার আবারও পতনের ধারায় ফিরে যায় বাজার।
বুধবারও শেয়ার বিক্রির চাপ অব্যাহত থাকতে
দেখা যায়। দিনভর নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে সপ্তাহের চতুর্থ দিনে বেশির ভাগ শেয়ারের
দাম কমলে প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ২৩ পয়েন্ট।
বিশ্ব বাজারে অস্থিরতা আর ডলারের দাম চড়ে যাওয়ার খবরে
আতঙ্কের মধ্যে ক্রমাগত দরপতনের এ ধারা চলছে বেশ কিছুদিন থেকেই।
শেয়ার বিক্রির হিড়িকে গত ৯ মে থেকে ২২ মে আট লেনদেন
দিবসে টানা পতন ঘটে সূচকে। সেই আট দিনে ডিএসই সূচক হারায় ৫৫৫
দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এরপর ডিএসইতে
২৩ মে ১১৯ পয়েন্ট সূচক বাড়লেও একদিন বাদেই টানা দুই দিন সূচক কমে।
এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার থেকে
আবারও আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইজের উপর শেয়ারদর কমার সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ আরোপের
নির্দেশনা এল।
তবে শেয়ার দর বাড়ার সীমা অপরিবর্তিত থাকবে।
এর আগে
চলতি বছরের ৯ মার্চ পুঁজিবাজারে ধস থামাতে নিম্নমুখী সার্কিট ব্রেকার ২
শতাংশ করা হয়েছিল।
এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার মধ্যে এরপর বাজার কিছুটা ভালো হলে
আবার নিম্নমুখী সার্কিট ব্রেকার ৫ শতাংশ
করা হয়।
শেয়ারের দাম কমবে ২%, বাড়বে আগের মত ১০%
শেয়ারদর কমার সর্বোচ্চ সীমা বেড়ে ৫%
এর আগে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর টানা
দরপতনে পুঁজিবাজারে ধস নামলে ২০২০ সালের মার্চে ফ্লোরপ্রাইস নির্ধারণ এবং পরে
নিম্নমুখী সার্কিট ব্রেকার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছিল। বাজার
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে তা তুলে নেওয়া হয়।
এদিন বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দশমিক ৩৮ শতাংশ সূচক
কমেছে।
আর আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই)
সূচক কমেছে দশমিক ৬৬ শতাংশ।
ঢাকার বাজারে এদিন ৫১৩ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের
দিনের চেয়ে ২২ দশমিক ৩৫ শতাংশ কম। মঙ্গলবার ৬৬০ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।
ডিএসইতে মোট ৩৭৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট হাতবদল হয়। এর মধ্যে ৭৬টির দর বেড়েছে, ২৫০টির কমেছে এবং ৪৯টির
দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে
ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৮২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৩ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট
হয়েছে।
আর ডিএস৩০ সূচক ৭ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট কমে
হয়েছে ২ হাজার ২৮৭ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন সূচক এবং লেনদেন কমেছে।
বুধবার এ বাজারে ২৬৮টি
কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৫১টির দর বেড়েছে, ১৮৭টির কমেছে এবং ৩০টির
দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কমে প্রধান সূচক
সিএএসপিআই ১২০ দশমিক ২২ পয়েন্ট কমে
হয়েছে ১৮ হাজার ১৬২ দশমিক ৪০ পয়েন্ট।
বুধবার এ বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা কমে ১৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা হয়েছে। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ৭১
লাখ টাকার শেয়ার।