মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষে সহকারী এস্টেট
ম্যানেজার মো. আলী আশ্রাফ বাদী হয়ে এ মামলা করেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
জানান শাহবাগ থানার ওসি মওদূত হাওলাদার।
এ ঘটনায় মঙ্গলবারই ২ জনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।
মামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম
রব্বানী বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হামলাকারীদের
মধ্যে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাদের বিরুদ্ধে আমরা একাডেমিক ব্যবস্থাও নেব।
কে কোন রাজনৈতিক দলের, সেটা বিবেচনা করা হবে না।”
মামলার কারণ দেখিয়ে তিনি বলেন, “সন্ত্রাসীদের
মূল টার্গেট ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম সিনেট নির্বাচন বানচাল করা।
কার্জন হলে কর্তব্যরত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীকে আক্রমণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের প্রতিষ্ঠান (পাওয়ার স্টেশন) ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি
বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি মালিকানার শিক্ষার্থীদের দুটি বাসও ভাঙচুর করা হয়েছে।”
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, শহীদ মিনার ও দোয়েল
চত্বরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায়
সংঘর্ষ ঘটে। হামলায় ছাত্রদলের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করছে
সংগঠনটি।
অন্যদিকে ছাত্রলীগের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সিনেটের ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনও চলে।
মামলার এজহারে বলা হয়, “একদল
দুষ্কৃতকারী লাঠি, রড ও নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগের
সামনে এক জোট হয়ে নির্বাচন বানচাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষার স্বাভাবিক
পরিবেশ বিঘ্নিত করতে অপতৎপরতা শুরু করে। বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানালে,
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখান থেকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
“বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুনরায় শিক্ষা ভবনের
সামনের দিক থেকে ৩০০-৪০০ জন দুষ্কৃতকারী কার্জন হলের গেট দিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশের
চেষ্টা করে। এ সময় গেটের নিরাপত্তা প্রহরী কামাল হোসেন তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা
করলে তার মাথায় লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করতে গেলে তিনি হাত দিয়ে তা ঠেকানোর চেষ্টা
করেন। এতে তার হাত জখম হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বহনে ব্যবহার করা দুটি বিআরটিসি
বাস ভাংচুর করে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা হয়।”