বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার
এ বিস্ফোরণের আরও অন্তত দুই জন আহত হয়েছে বলে কাবুলের তালেবান কমান্ডারের মুখপাত্র
জানিয়েছেন।
একইদিন দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর
মাজার-ই-শরীফে যাত্রীবাহী যানে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে; জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক
স্টেট (আইএস) এর দায় স্বীকার করেছে।
কাবুলের ইমার্জেন্সি হাসপাতাল
এক টুইটে জানিয়েছে, মসজিদের বিস্ফোরণের ঘটনায় তাদের এখানে পাঁচটি মৃতদেহ ও এক ডজনেরও
বেশি আহতকে নিয়ে আসা হয়েছে।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক
তালেবান কমান্ডার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মসজিদের মিম্বরে পেতে রাখা বোমার
বিস্ফোরণে ইমামসহ ১৪ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হয়েছে।
একই দিন উত্তরাঞ্চলীয় বলখ প্রদেশে
রাজধানী মাজার-ই-শরীফে তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রদেশটির এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার
ভাষ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা
সঙ্কটজনক এবং তাদের কয়েকজনের পা কেটে ফেলতে হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বলখ প্রদেশের কমান্ডারের মুখপাত্র
মোহাম্মদ আসিফ ওয়াজেরি রয়টার্সকে জানান, তিনটি বিস্ফোরণই শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনকে
লক্ষ্য করে ঘটানো হয়েছে।
বুধবারই নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে
দেওয়া বিবৃতিতে মাজার-ই-শরীফের হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। তবে কোনো গোষ্ঠী কাবুলের
মসজিদে ঘটানো বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের
নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী প্রত্যাহারের পর গত অগাস্টে দেশটির ক্ষমতা নেয় তালেবান।
এরপর পরিস্থিতি কিছুদিন শান্ত থাকলেও গত কযেক মাস ধরে দেশটিতে সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি
পাচ্ছে, এতে নিরাপত্তা রক্ষার চ্যালেঞ্জে পড়েছে তালেবান। শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর চালানো
হামলাসহ এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।