ক্যাটাগরি

টিকে থাকুক ডিআরইউর ঐক্য: তথ্যমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার ডিআরইউর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এক এক করে ২৭ বছর কেটে গেছে। ২৭ বছর এই পথ পরিক্রমায় ঢাকা রিপোর্টার্স
ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে। রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়নি। আমি
মনে করি এটি বড় সাফল্য। আশা করি, আগামী ২৭ বছরপরেও কিংবা ৫০ বছর পরেও ঢাকা রিপোর্টার্স
ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকবে।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন,
তিনি চান না রাজনৈতিকভাবে ডিআরইউতে কখনও বিভক্তি তৈরি হোক।

“আমি রাজনীতির
মানুষ। আমি রাজনীতি করি, একটি দলও করি। আমি দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এরপরও আমি চাই
না রাজনৈতিকভাবে এই সংগঠন কখনও বিভক্ত হোক।”

গণমাধ্যমের বিকাশে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে
দাবি করে তথ্মন্ত্রী বলেন, “গত সাড়ে ১৩ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। আজ থেকে ১৩ বছর
আগে ১০টি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, এখন প্রায় ৩৮টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে
আছে, আরও কয়েকটি সম্প্রচারে আসছে।

“বেসরকারি রেডিও
ছিল না, এখন ১২টির বেশি এফএম রেডিও রয়েছে। কমিউনিটি রেডিও ছিল না, এখন বেশ কয়েকটি কমিউনিটি
রেডিও সম্প্রচারে আছে। পত্রিকার সংখ্যা সাড়ে ১৩ বছরে সাড়ে চার’শ থেকে সাড়ে ১২’শ হয়েছে।”

তথ্যমন্ত্রী মনে করেন, দেশে অনলাইন গণমাধ্যমের সংখ্যা
নিরূপণে পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন।

পাঁচ হাজারের বেশি গণমাধ্যমের নিবন্ধনের জন্য আবেদন
পত্র মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ থেকে সহজেই বোঝাতেই দেশে কতগুলো অনলাইন
গণমাধ্যম রয়েছেন।
“আপনারা যদি খবরা-খবর নেন দেখবেন, যে বাংলাদেশের
গণমাধ্যম যেভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যেভাবে বিকাশ হয়েছে, সেটি
অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ। এরপরও নানা কিছু সীমাবদ্ধতার কথা আপনারা আমাদের
নজরে আনেন, সেগুলোর ব্যাপারে আমি ব্যক্তিগতভাবে সচেতন আছি।”

অনুষ্ঠানে ডিআরইউর সভাপতি সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু,
বাংলাদেশ পোশাক রফতানিকারক ও মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, জাতীয় প্রেসক্লাবের
সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।