গত ২১ মে ভোরে প্যারিসের
বাস্তিল এলাকার কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার সময় তার উপর হামলা হয়; বুধবার তিনি মারা
যান বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
সোহেল রানা মুন্সীগঞ্জের
সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের মো. আজিজুল হক সরকারে ছেলে।
চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।
এক দশকের বেশি সময় ধরে
প্যারিসে বাসবাস করে আসা সোহেল বাস্তিলের একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। তার স্ত্রী ও
তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
সোহেলের বাবা আজিজুল হক
সরকার বলেন, সোহেল রেস্তোরাঁয় রাতের পালায় কাজ সেরে শনিবার ভোর ৫টার দিকে বাসায়
ফিরছিলেন। রোস্তোরাঁর কাছেই একটি গলিতে চারজন সন্ত্রাসী সোহেলকে মারধর করে পালিয়ে
যায়। তার মাথার জখম গুরুতর ছিল।
এ ঘটনায় রেস্তোরাঁর
মালিক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন বলে জানান আজিজুল হক সরকার।
আমাদের মুন্সীগঞ্জ
প্রতিনিধি জানান, সোহেলের মৃত্যুর খবরে গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম
চলছে। লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ মো. ফজলুল হক শোকসপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা
জানিয়েছেন।
প্যারিস প্রবাসী শাহ
সুহেল আহমদ জানান, সোহেলের মৃত্যুতে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও প্রতিবাদে
সোচ্চার হয়েছেন।
তারা বলছেন, প্যারিসে
চুরি-ছিনতাই বেড়েই চলেছে। অনেক বাংলাদেশিও এ ধরনের ছিনতাইর ঘটনার শিকার হয়েছেন।
সোহেলও হয়ত ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন।
সোহেল রানার খালাতো ভাই
সংগীতশিল্পী মিজান রাহমান বলেন, “ও একজন সহজ সরল মানুষ ছিল। কারো সাথে বিরোধ থাকার
কথা না। ছিনতাইয়ের জন্য ওই হামলা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা।”
বাংলাদেশ দূতাবাসও এ
বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ময়নাতদন্তের পর লাশ দেশে পাঠানোর দিনক্ষণ
ঠিক করা হবে।”
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে
প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি মো. ওয়ালিদ বিন কাশেম বলেন,
“সোহেল রানার হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস
সিরিয়াসলি কাজ করছে। আগামীকাল ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অফিসিয়ালি অবহিত
করা হবে।”