‘ভেরি ইংলিশ ক্যু দ্যেতা’ নামের নতুন
একটি ওয়েবসাইট চিহ্নিত করেছেন গুগলের সাইবার নিরাপত্তা দলের সদস্যরা। ব্রিটিশ সরকারের
উচ্চপর্যায়ের বেশ ক’জন কর্মকর্তার ইমেইল সাইটটিতে ফাঁস হয়েছে। ইমেইলগুলো প্রত্যক্ষ
বা পরোক্ষভাবে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে আছেন এমআই সিক্সের
সাবেক প্রধান রিচার্ড ডিয়ারলাভ, জিসেল স্টুয়ার্ট এবং ইতিহাসবিদ রবার্ট টুম্বসসহ আরও
ব্রেক্সিট সমর্থক অনেকেই।
ইমেইলগুলো সংগ্রহে কোনো ম্যালওয়্যারের
ব্যবহার ছিল কি না, সে বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই ইটটিতে। ইমেইল চুরির ঘটনার মূল হোতাদের
পরিচয় সম্পর্কেও কোনো তথ্য নেই সেখানে।
ওয়েবসাইটটি বিশ্লেষণ করে গুগলের ‘থ্রেট
অ্যানালাইসিস গ্রুপ (ট্যাগ)’-এর পরিচালক শেইন হান্টলি রয়টার্সকে বলেছেন, সব প্রমাণ
রাশিয়াভিত্তিক হ্যাকারদের দল ‘কোল্ড রিভার’-এর দিকেই আঙ্গুল তুলছে।
রুশ হ্যাকারদের হাতে ব্রেক্সিট ইমেইল
ফাঁস হওয়ার খবর প্রথম প্রকাশ করেছে রয়টার্স। ইমেইলগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বার্তাসংস্থাটি।
এ প্রসঙ্গে ডিয়ারলাভ রয়টার্সকে বলেছেন, ‘তার সঙ্গে ইমেইল আদান-প্রদান করেছে এমন একটি
প্রোটন অ্যাকাউন্টের ওপর রাশিয়ান অপারেশন সম্পর্কে’ তিনি অবহিত আছেন।
তবে, ‘রাশিয়ার সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের
টানাপোড়েনের’ পরিপ্রেক্ষিতে কথিত ফাঁস হওয়া ইমেইলগুলোকে সাবধানতার সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়ার
পরামর্শ দিয়েছেন ডিয়ারলাভ।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার সাম্প্রতিক সামরিক
আগ্রাসনের ঘটনায় খোলাখুলিভাবেই ইউক্রেইনের পক্ষ টেনেছে যুক্তরাজ্য। ইউক্রেইনকে অস্ত্রসহ
আনুসাঙ্গিক অনেক কিছুই সরবরাহ করেছে দেশটি। ইউক্রেইনকে সমর্থন জানানোয় এপ্রিল মাসের
মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
‘বেআইনি হ্যাকিং নির্ভর রুশ মিথ্যাচার’
সম্পর্কে অবহিত আছেন বলে জানিয়েছেন রবার্ট টুম্বস। ভুক্তভোগীদের অন্য কেউ এ প্রসঙ্গে
মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ইমেইলগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের চেয়েও হ্যাকারের
পরিচয় নিশ্চিত কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ টমাস রিড রয়টার্সকে বলেছেন, এক্ষেত্রে হ্যাকারদের ব্যবহৃত
কৌশলের সঙ্গে রুশ হ্যাকারদের আগের হ্যাকিং কৌশলের বেশ মিল রয়েছে।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনের আগে ইমেইল ও তথ্য-উপাত্ত ফাঁস হওয়ার ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনার মিল রয়েছে
বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
“বেশ কিছু দিক থেকে এটি পরিচিত মনে হচ্ছে।
এতে যে অলসতার চিহ্ন রয়েছে, সেটি থেকেও,” যোগ করেন তিনি।