ক্যাটাগরি

সেঞ্চুরি নয়, সাকিবের ভাবনায় তিন ঘণ্টা ব্যাটিং

ম্যাচ বাঁচানো নিয়ে এমন শঙ্কায় পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের আরেকটি ব্যর্থতার পর। সাকিবের ৫ উইকেট ও ইবাদত হোসেনের ৪ উইকেটে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস থেমেছে ১৪১ রানে এগিয়ে থেকে। চতুর্থ দিন বিকেলে ১৩ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং ধসে পড়ে এই টুকুতেই। দিন শেষে রান ৪ উইকেটে ৩৪।

এ দিন ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি সাকিবকে। তবে শেষ দিনে তাকে প্রয়োজন হবে। বোলিংয়ে ৫ উইকেট নেওয়ার পর তার ব্যাটিংয়ের দিকেও তাকিয়ে থাকবে দল। সাকিব দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, তিনি নিজেও মুখিয়ে আছেন ব্যাট হাতে অবদান রাখতে।

“আমিও চাই (ব্যাটিংয়ে ভালো করতে)… দলকে বাঁচাতে হলে, আমরা যারা আছি, এখনও ছয়টা উইকেট যারা আছে, সবাইকে অবদান রাখতে হবে। নইলে কঠিন হবে। পঞ্চম দিনে এরকম পরিস্থতি যখন আসবে, কাল প্রথম ঘন্টায় তো পুরো আক্রমণ করবে আমাদের, খুবই স্বাভাবিক। আমরা ওদের জায়গায় থাকলে তা-ই করতাম। আমাদের তা সামলাতে হবে। প্রথম ঘন্টায় যদি উইকেট না হারাই এবং লাঞ্চ পর্যন্ত যদি উইকেট না যায়, তাহলে হয়তো আমরা একটা জায়গায় আসার চেষ্টা করতে পারব।”

ব্যাট হাতে বড় কিছু করতে পারছেন না তিনি অনেক দিন ধরেই। তার ৫ টেস্ট সেঞ্চুরির সবশেষটি এসেছে সেই ২০১৭ সালের মার্চে, দেশের শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কায়। এরপর পেরিয়ে গেছে ২০ ইনিংস। এই সময়ে ৫টি ফিফটি করলেও তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।

তবে এই টেস্টের বাস্তবতায় নিজের সেঞ্চুরির চেয়ে তার ভাবনায় বেশি আছে দলের জন্য উইকেটে সময় কাটানো।

“এখন দলের যা পরিস্থিতি, সেঞ্চুরির চেয়ে আমি যদি তিন ঘন্টা ব্যাট করতে পারি দলের জন্য… আশা করি, যে দুজন টিকে (মুশফিক ও লিটন) আছে, ওরা যদি লাঞ্চ পর্যন্ত খেলতে পারে এবং আমি এরপর তিন ঘন্টা ব্যাট করতে পারলে, দলের জন্য ওটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।”

“লাঞ্চের আগে একটার বেশি উইকেট পড়লে আমরা খুব বাজে অবস্থায় থাকব। লাঞ্চ টাইম পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন দুই ব্যাটসম্যান এই উইকেটে সেট হয়ে যাবে, তখন তাদের আউট করা খুবই কঠিন।”