ভারতের উইমেন’স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে বৃহস্পতিবার ভেলোসিটির বিপক্ষে ২ ওভারে ২২ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন বাংলাদেশের অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার সালমা। ৫ উইকেটে ১৯০ রানের পুঁজি গড়ে তার দল ম্যাচ জেতে ১৬ রানে। ৯ উইকেটে ১৭৪ রান করতে পারে ভেলোসিটি।
তিন দলের আসরে দুই ম্যাচে একটি করে জয়ে সবার পয়েন্ট সমান ২ করে। নেট রান রেটে এগিয়ে শনিবারের ফাইনালে সুপারনোভাসের সঙ্গী হয়েছে ভেলোসিটি। বিদায় নিয়েছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ট্রেইলব্লেজার্স।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় প্রথম ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ৩২ রান তুলে ফেলে ভেলোসিটি। চতুর্থ ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে প্রতিপক্ষের রানের জোয়ারে বাঁধ দেন সালমা, দলকে এনে দেন প্রথম সাফল্যও। মাত্র ৪ রান দিয়ে ওভারের শেষ বলে তিনি বোল্ড করে দেন ইয়াস্তিকা ভাটিয়াকে (১৫ বলে ১৯)।
পরের ওভারে রাজেশ্বরি গায়কোয়াড় ১৪ রান দিলেও তুলে নেন আরেক ওপেনার শেফালি ভার্মার (১৫ বলে ২৯) উইকেট।
সালমা নিজের পরের ওভারে দিয়ে ফেলেন ১৮ রান। প্রথম বলে স্লগ সুইপে ছক্কা মারেন কিরন প্রভু নবগিরে। তৃতীয় বলে আবার স্লগ সুইপের চেষ্টায় বল তার ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় আকাশে। তবে বলের নিচে যেতে পারেননি কোনো ফিল্ডার। ওভারের শেষ দুই বলে চার-ছক্কা মারেন ভারতের এই ব্যাটার।
নবগিরে একাই টানেন দলকে। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেন মাত্র ২৫ বলে। তার ৩৪ বলে ৫টি করে চার-ছক্কায় গড়া ৬৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংসটি শেষ হয় সপ্তদশ ওভারে স্টাম্পড হয়ে। তার রানের জোয়ারে বাঁধ দিতে না পারাতেই নেট রানরেটে অনেকটা পিছিয়ে পড়ে ট্রেইলব্লেজার্স।
প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া বাংলাদেশের আরেক প্রতিনিধি শারমিন আক্তার সুপ্তা এ দিন ট্রেইলব্লেজার্সের একাদশে সুযোগ পাননি। তার জায়গায় দলে আসা সাবিনেনি মেঘানার ৪৭ বলে ৭৩ ও জেমিমাহ রদ্রিগেসের ৪৪ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে বড় পুঁজি পেয়েছিল ট্রেইলব্লেজার্স। ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি সালমাকে।
আগের ম্যাচে সালমা ব্যাটিংয়ে শূন্য রানে আউট হওয়ার আগে হাত ঘুরিয়ে ৪ ওভারে ৩০ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট।
গত আসরে দলের শিরোপা জয়ে তিন ম্যাচে ওভারপ্রতি ৪.৭০ রান দিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
আইপিএলের মেয়েদের সংস্করণ হিসেবে এটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় ভারত। এবার হচ্ছে টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসর।