শুক্রবার ৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি
পরীক্ষার একটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এমন মন্তব্য
করেন।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত
দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে এই পরীক্ষা হয়। ২৫টি ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০টি পদের জন্য এ পরীক্ষায়
প্রার্থী ছিলেন সাড়ে তিন লাখ।
পিএসসি চেয়ারম্যান সকালে ঢাকা কলেজ
কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সাংবাদিকরা জানতে চান, নিয়োগ কার্যক্রমে মহামারীর কোনো প্রভাব
পড়েছে কিনা।
জবাবে সোহরাব হোসাইন বলেন, “কোভিড
চলাকালে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছি। পিএসসির অধিকাংশ সদস্যই ষাটোর্ধ্ব।
কোভিডে মৃত্যুঝুঁকি নিয়েও ৪২তম বিসিএসে চিকিৎসক নিয়োগ নিয়ে আমরা কাজ করেছি।
“আট হাজার নার্স নিয়োগের কাজ করেছি।
৪১৯ জন সিনিয়র কনসালটেন্ট নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় ৪৪তম বিসিএস
পরীক্ষা হচ্ছে। পিএসসির সব কার্যক্রম অব্যাহত আছে।”
পরীক্ষায় কোনো ‘অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি’
জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি, প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। এমসিকিউ
পরীক্ষার ছয় সেট প্রশ্ন করেছি। সকাল সাড়ে ৯টায় লটারির মাধ্যমে সেট পছন্দ করে প্রিন্ট
দিয়ে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।”
গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় ৩০ ডিসেম্বর, শেষ হয়
২ মার্চ। ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী এ পরীক্ষায় আবেদন করেন।
এই বিসিএসের মাধ্যমে সাধারণ ক্যাডারে
৪৪৯ জন, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ জন, সাধারণ কলেজের জন্য সাধারণ শিক্ষায় ৪০১ জন, শিক্ষক
প্রশিক্ষণ কলেজের জন্য সাধারণ শিক্ষায় ২০ জন ও কারিগরি শিক্ষায় ৩৫৫ জন নিয়োগ পাবে।