শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুর শহরের এক কমিউনিটি সেন্টারে দিনাজপুর লায়ন্স ক্লাবের আয়োজনে জাঁকজমকপূর্ণভাবে হয় এই অনুষ্ঠান। বিয়ের পোশাকে একসঙ্গে ৪০ কনের পাশাপাশি ৪০ বরসহ তাদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা হাজির হন।
অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমসহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি।
তাদের হৈহুল্লোরে সানন্দে সারা হয় সব আয়োজন।
দিনাজপুর লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিনাজপুর লায়ন্স ক্লাবের শিশু নিকেতনে বেড়ে ওঠেন এবং স্বাবলম্বী হন এই কন্যারা। পরে তাদের পরিবার বিভিন্ন সময় পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়। তাদের জন্য বিবাহত্তোর বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে লায়ন্স ক্লাব।
শিশু নিকেতনে থেকে তারা লেখাপড়ার পাশাপাশি কম্পিউটার, কাপড় সেলাই, বুটিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন এবং বয়স ১৮ বছরের পর পরিবারের কাছে ফিরে যান। পরে তাদের পরিবার বিয়ে দেয়।
বিদায় অনুষ্ঠানে উপহার হিসাবে কনেদের সেলাই মেশিন আর বরদের বাইসাইকেল ছাড়াও দেওয়া হয় বিভিন্ন আসবাবপত্র।
মধ্যাহ্নভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
কনেরা জানান, জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজনে তারা যেমন খুশি তেমনি তাদের পরিবারও খুশি। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়েছে সাদামাটা পরিবেশে। এমন ঘটা করে বিয়ের অনুষ্ঠান করার সামর্থ্য তাদের নেই।
বড় আয়োজনে তারা অনেকেই আবেগাপ্লুত হন।
হুসনে আরা জাহান শিশু নিকেতনে তাদের দেখাশোনা করেছেন, মায়ের আদরে ভালবাসা দিয়ে দেখভাল করেছেন।
তিনি বলেন, “আমার কাছে বড় হওয়া এই মেয়েদের বিয়ের পর একসঙ্গে স্বামীসহ বিবাহত্তোর বিদায় অনুষ্ঠানে দেখতে পেয়ে আমি খুব খুশি।”
এমন অনুষ্ঠান এটাই প্রথম না। ক্লাবটি এর আগেও এমন আয়োজন করেছে।
মিজানুর রহমান বলেন, এর আগে তারা শিশু নিকেতনের ১৭৪ জন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তাদের প্রতিষ্ঠানে বেড়ে ওঠা এসব মেয়ের বিবাহত্তোর অনুষ্ঠান আয়োজনের এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামীতে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
লায়ন্স ক্লাবের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন হুইপ ইকবালুর রহিম।
তিনি বলেন, এসব দম্পতির জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির করতে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে। তাদের কর্মমুখী করতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।