ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার করোনভাইরাস প্রতিষেধক গ্রহণ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির প্রথম প্রতিষেধক গ্রহণকারী হিসেবে নাম লিখিয়েছেনি তিনি। মতামত জরিপ বলছে, জনসাধারণের দুই-তৃতীয়াংশ তাকে অনুসরণ করতে চাইছেন।
দেশটির বিচার বিভাগ জানিয়েছে, তাদের অনুরোধে ফেইসবুক এ সপ্তাহের শেষে চারটি গ্রুপ মুছে দিয়েছে, সেখানে থাকা লেখা, ছবি ও ভিডিও যা “উদ্দেশ্যমূলকভাবে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য নকশা করা হয়েছিল” তা সরিয়ে দিয়েছে।
এক ইমেইল বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের ভুয়া খবরে দাবি করা হয়েছিল যে প্রতিষেধকের মাধ্যমে গ্রহণকারীর শরীরে সরকার ট্র্যাকিং ডিভাইস প্রবেশ করাবে। আর দাবি ছিল, চাইলেই তাদেরকে বিষপ্রয়োগ করা সম্ভব হবে, এবং এভাবে জনসংখ্যা বাছাই বা তাদের উপর চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা চালাবে সরকার।
চারটি হিব্রু ভাষার গ্রুপকে মুছে দেওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন এক ফেইসবুক মুখপাত্র। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানের “প্রতিষেধক সম্পর্কিত ভুল তথ্য প্রচার” নীতিমালা ভাঙার অংশ হিসেবে পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা যথেষ্ট পরিমাণে প্রতিষেধকের ফরমায়েশ করেছেন যা দিয়ে বছরের শেষ নাগাদ সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা জনসংখ্যার ২০ শতাংশকে সুরক্ষিত করা সম্ভব হবে এবং তারপর করোনাভাইরাস নিষেধাজ্ঞা কিছুটা উঠিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু ভুল তথ্যের মুখে সে প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে শঙ্কা রয়েছে তাদের।
রোববার থেকে চিকিৎসা কর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু করেছে ইসরায়েল। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, তেল আবিবের সৌরাস্কি মেডিকেল সেন্টারে কয়েক ডজন ডাক্তার এবং নার্সকে টিকা নেওয়ার প্রস্তুতির সময় নাচতে দেখা গেছে। এর পরের টিকাগুলো বয়োজ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি বা যারা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের দেওয়া হবে। পরিকল্পনা অনুসারে, ২০২১ সালের শুরু নাগাদ বড় পরিসরে প্রাপ্ত বয়স্করা টিকা পাবেন।
ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যা ৯০ লাখ। এর মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা তিন লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৮ জন, এ পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছেন তিন হাজার ৭৪ জন। এ নিয়ে দুই বার দেশ জুড়ে লকডাউন দিয়েছে ইসরায়েল, উচ্চ সংক্রমণ এলাকার জন্য নতুন করে ব্যবস্থাও নিয়েছে দেশটি।